বিজ্ঞাপন

দেশেই বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার তৈরি করতে চুক্তি সই

October 21, 2018 | 5:01 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: এখন দেশেই তৈরি হবে বিদ্যুতের বিতরণের প্রিপেইড মিটার। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও চীনের হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি যৌথভাবে প্রিপেইড মিটার তৈরি করবে। রোববার (২১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ মূলধনী কোম্পনি গঠনের চুক্তি সই হয়।

চুক্তিপত্রে ওজোপাডিকোর সচিব আব্দুল মোতালেব এবং হেক্সিং-এর পক্ষে চেয়ারম্যান জো ইয়াং চেং সই করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানির চেয়ারম্যান জো ইয়াং চেং, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা আক্তার, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার তৈরির কাজ খুলনার সাচিবুনিয়ায় ভাড়া কারখানায় শুরু হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে মিটার তৈরির কারখানা স্থাপন করা হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম নেওয়া হলো। অন্য কোম্পানিকেও তিনি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক কোম্পানি এগিয়ে এলে মিটারের দাম কমে আসবে। প্রতিযোগিতার বাজার তৈরি হবে।

বিদ্যুৎ সচিব কায়কাউস বলেন, দেশেই মিটার তৈরির উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎখাতে নতুন যুগের সূচনা হলো। আমরা শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনে নজর দিচ্ছি না, যন্ত্রপাতি বানানোতেও মনোযোগ দিচ্ছি। এটা শুরু। আমরা আরও এগিয়ে যাব। তিনি জানান, ডেসকোর চেয়ারম্যান থাকাকালে মিটার তৈরির প্রকল্প হাতে নিতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত হয়নি।

বিজ্ঞাপন

শফিক উদ্দিন বলেন, জানুয়ারি থেকেই মিটার উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে সব মিটারই আমদানি করা হতো। এখন থেকে আমদানির পরিমাণ কমে যাবে, রাষ্ট্রীয় অর্থের সাশ্রয় হবে। ধীরে ধীরে সব গ্রাহকের আঙিনায় প্রিপেইড মিটার বসানো হবে। ফলে বিদ্যুৎ বিল শত ভাগ আদায়ের পাশাপাশি বিল তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় কমে যাবে। ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলো দুই দিক থেকে লাভবান হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ১০ লাখ। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে মাত্র ১৫ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায়। সরকার বিতরণ কোম্পানিকে যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে ৭৫ লাখ গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে। অর্থাৎ সরকারের পরিকল্পনা সফল করতে হলে ২ বছরে ৫৯ লাখ ২০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে।

ওয়েস্ট জোন ও হেক্সিং যৌথভাবে যে সমীক্ষা চালিয়েছে, তাতে দেখা যায় প্রতিটি মিটার আমদানি করতে এখন ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। দেশে তৈরি হলে প্রতিটি মিটারের দাম পড়বে ৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মিটারে সাশ্রয় হবে ৫শ’ টাকা। তবে উৎপাদন বাড়লে আরও কম খরচে মিটার উৎপাদন সম্ভব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেবারে নতুন হওয়ায় বাংলাদেশে প্রিপেইড মিটারের বড় বাজার রয়েছে। ৩ কোটি গ্রাহক আর ৪ হাজার টাকা ধরে হিসাব করলেও দেশে প্রিপেইড মিটারের ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন