বিজ্ঞাপন

দেশের ফুটবলে জিপিএস প্রযুক্তি!

February 19, 2018 | 8:30 pm

জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বিশ্ব ফুটবল যেখানে অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলছে, সেই গতিতে অবশ্য খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল। গতিটার মাত্রাটায় পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তাতো একটু হবেই! দেশের ফুটবলটা যে পেশাদারিত্বের মুখোশে অপেশাদার! অনেকটা ‘মরচে ধরা’ বারুদ নিয়ে লড়াই করে চলেছে ফুটবল অধিকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

তবে, চেষ্টার কমতিও রাখতে চায় না বাফুফে। অন্তত জাতীয় দলের ফুটবলারদের জন্য আধুনিক সেবা দিতে চায় ফেডারেশন। সেই লক্ষ্যে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) কাছে ফুটবলারদের জন্য ‘জিপিএস প্রযুক্তি’ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠাতে চায় দেশের শীর্ষ ফুটবল অভিভাবক।

তিন ধরে এএফসির দুই প্রতিনিধি বাফুফে পাড়ায় অবস্থান করছেন। ক্লাব লাইসেন্সসহ বাফুফের আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরই মধ্যে উঠে এসেছে ফুটবলারদের জন্য প্রয়োজনীয় জিপিএস প্রযুক্তির বিষয়টিও।

ভারত-মালদ্বীপ-নেপালেও যেখানে অনেকদিন আগে থেকে এ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে সেখানে বাংলাদেশ একটু পিছিয়েই বলতে হবে। একটু দেরি হলেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে ফেডারেশন। কয়েকদিনের মধ্যে এএফসি বরাবর এই প্রযুক্তি চেয়ে প্রস্তাব পাঠাবে বাফুফে। এএফসির প্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে ‘পজিটিভ সংকেত’ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আর সেটা যদি হয় তাহলে বাংলাদেশের ফুটবলে আধুনিকতা ছোঁয়া লাগবে। যদিও সবশেষ স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ অনুশীলনে ফুটবলারদের এ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। তবে জাতীয় ফুটবলারদের জন্য এটি এখনও একটি স্বপ্নের নাম জিপিএস।

বিশে^র বেশিরভাগ পেশাদার ক্লাবেরই এই জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। ফুটবলার গায়ে (ঘাড়ে) এক ধরনের কাপড় পড়ানো হয়। যার মাধ্যমে অনুশীলনে ফুটবলারদের গতি-ফিটনেস লেভেল পরিমাপ করা যায়। এছাড়াও শারীরিকভাবে কতটা শক্তিশালী তা জানা যাবে।

স্বাধীনতা কাপে আরামবাগের ডাগ আউটে কোচের দায়িত্বে থাকা মারুফুল হক জানান, ‘এটা খেলোয়াড়দের জন্য অনেক জরুরি। ফুটবলারদের ফিটনেসের লেভেল, গতি, আন্তর্জাতিক মান থেকে কত পিছিয়ে সেটা দেখা যাবে এই পদ্ধতিতে। কত দ্রুত দৌড়ায়, কত জায়গায় কাভার করে, শারীরিকভাবে কত শক্তিশালী। এছাড়াও খেলোয়াড়দের টেকনিক্যাল মুভমেন্টগুলোও কেমন সেটা জানা যায়। মাথা-হাত-পায়ের মুভমেন্ট নির্ণয় করা যায়।’

বিজ্ঞাপন

অতি দ্রুত এএফসির কাছে ‘জিপিএস প্রযুক্তি’ চেয়ে প্রস্তাব পাঠাবে বাফুফে এমনটাই জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, ফুটবলার এটা প্রয়োজন। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা প্রস্তাব দিবো। হয়তো দুই-তিন মাস লাগবে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে। আমরা আশাবাদী।’

ভারতে দু’বছর আগে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। দেশের ফুটবলাররাও এ প্রযুক্তির ছোঁয়া পেয়ে ফুটবলারদের উন্নতি হোক। এগিয়ে যাক ফুটবল। আর এভাবে ক্লাব-বাফুফে মিলে আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে উঠলে দেশের ফুটবলে ‍সুদিন ফিরতে বেশি সময় লাগবে না…

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন