বিজ্ঞাপন

‘দ্বিতল’ ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়বেন ৩ হাজার মুসল্লি

August 21, 2018 | 1:37 pm

।। রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জ: বানের পানিতে একসঙ্গে ঈদের জামাত পড়ার কোনো জায়গা নেই। এমন পরিস্থিতিতে নৌকায় করে নামাজ পড়তেন তিন গ্রামের মানুষ। কিন্তু তাতে ভীষণ ঝক্কি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা। দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান অবশেষে হতে যাচ্ছে। তিন গ্রামের প্রায় তিন হাজার মুসল্লির জন্য এবার তৈরি হয়েছে অভিনব দ্বিতল ঈদগাহ। চলনবিলের কোলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এই তিন গ্রামের মানুষের কাছে তাই এবারের ঈদুল আজহার আনন্দ হয়েছে দ্বিগুণ। স্বপ্নের নতুন এই ঈদগাহকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে তাদের এবারের ঈদ আনন্দ।

উল্লাপাড়ার নরসিংহপাড়া, শুকলাই ও শুকলহাটের গ্রামের মানুষদের জন্য নির্মিত হয়েছে এই ঈদগাহ। নরসিংপাড়া গ্রামের সাহিত্যিক, সাংবাদিক মোস্তাফা জাহাঙ্গীর আলম উদ্যোগ নিয়ে তিন গ্রামের মানুষসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায় প্রায় ৫৫ লাখ টাকা খরচে অভিনব এই দ্বিতল ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করেছেন। এটি এই জনপদের একমাত্র ভাসমান ঈদগাহ মাঠ। মাঠটি এখন মানুষের কাছে দর্শনীয় স্থান হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মাঠটি দেখার জন্য আসছে।

জানা গেছে, নিজ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের দুরাবস্থা নিরসনের জন্য প্রায় দু’বছর বছর আগে উদ্যোগ নেন মোস্তফা জাহাঙ্গীর। সেই পরিকল্পনা অবশেষে বাস্তব রূপ নিয়েছে। তিন গ্রামের মাঝখানে পাওয়া গেছে ঈদগাহের জন্য দান করা জায়গা। সেখানে পানির ওপর দণ্ডায়মান সাইক্লোন শেল্টার আদলে পাকা পিলারে ছাদের ছাউনি দিয়ে নির্মিত হয়েছে এই ঈদগাহ মাঠ। প্রায় তিন হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন এখানে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, ঈদগাহ নির্মাণের টাকার একটি অংশ ব্যারিস্টার রওশন-জাহান ফাউন্ডেশনের পক্ষে সাংবাদিক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার দিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিল্পপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এই ঈদগাহ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ। সবমিলিয়ে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয় এর জন্য।

কেবল অর্থ নয়, তিন গ্রামের মানুষের কায়িক শ্রমও যুক্ত হয়েছে এই ঈদগাহ মাঠ নির্মাণের কাজে। এ ঈদগাহ নির্মাণের স্থানটিকে চার কোণবিশিষ্ট করার জন্য নরসিংহপাড়া গ্রামের নিরক্ষর চাষি কুদরত আলী কুদু তার এক শতক জমিও দান করেছেন। তারই ফল হিসেবে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে এই দ্বিতল ঈদগাহ ময়দান।

ঈদগাহের পরিকল্পনাকারী সাংবাদিক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেক কষ্ট করে সব স্তরের মানুষের সহযোগিতায় ঈদগাহ মাঠটি নির্মিত হয়েছে। এই ঈদুল আজহার নামাজের মাধ্যমেই শুরু হবে এই ঈদগাহের কার্যক্রম।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, টাকার অভাবে ঈদগাহের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। রঙের কাজও শেষ করতে পারিনি। আশা করছি আগামী বছর ঈদুল ফিতরের আগেই বাকি কাজগুলোও শেষ হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ১০ লাখ টাকার সংস্থান করতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেন তিনি।

সারাবাংলা/এমএইচ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন