বিজ্ঞাপন

‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’: কী আছে সিনেমার ভাষায়

February 18, 2018 | 7:19 pm

নব্বইতম অস্কারে ১৩টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন ‘দ্য শেপ অপ ওয়াটার’। ম্যাক্সিকান পরিচালক গিয়ের্মো দেল তোরো পরিচালিত ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম দিনে। ফ্যান্টাসি ড্রামা ঘরানার আলোচিত এই ছবিটি নিয়ে সম্প্রতি লিখেছেন বিবিসি-র আর্ট এডিটর উইল গমপার্জ। লেখাটি অনুবাদ করেছেন প্রতীক আকবর:

ছবির একটি দৃশ্য এমন- এলিসা নামের এক নারী শুয়ে আছেন সোফায়, কোনো ঘরে। সোফাটিসহ ঘরের অন্যান্য আসবাব অর্ধেকটা ডুবে রয়েছে পানিতে। পলকের অপেক্ষায় বোঝা গেলো ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে সোফা, আসবাব এবং অবশ্যই এলিসা।

বিজ্ঞাপন

তবে দৃশ্যের গতির চেয়ে দর্শকদের মনের গতি বেশি। ঘরটি ডুবে যাওয়ার আগেই যেন ডুবে যাবে দর্শকদের মন। দেল তোরোর মতে ‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’ একটি ‘অপার্থিব’ চলচ্চিত্র।

এতে করে, ফ্যান্টাসি যারা পছন্দ করেন না, তাদের হৃদয় ভাঙতে পারে। কিন্তু কেন এটাতে ফ্যান্টাসি প্রয়োজন, তার ভিন্ন এক সুন্দর-ইউনিক প্রমাণ দিয়েছেন পরিচালক।

‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’ সিনেমার গল্প ১৯৬০ সালের। তবে কাহিনীর মূল উপলব্ধি বা, সিনেমায় ব্যবহৃত ভাষা সরাসরি কখনো সমালোচনার দৃষ্টিতে ব্যবহৃত হয়েছে এসময়ের মতো করে।

বিজ্ঞাপন

‘যারা কথা বলতে পারে না, তারা বঞ্চিত-নিগৃহিত। এমন অবস্থাকে তুলনা করা হয়েছে ডাঙায় থাকা মাছের সঙ্গে। এই ধরনের মানুষ বা সৃষ্টিদের ভুল বুঝিয়ে, ভুলভাবে পরিচালিত করা হয়।’ – এই হলো মূল মন্ত্র সিনেমার। কিন্তু বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে চরম বুদ্ধিমত্তায়, কোমল ও সুন্দরভাবে।

ফ্যান্টাসি ড্রামাটিতে বারবার আসবে এলিসের কথা। সে এক বাক প্রতিবন্ধি নারী। যুক্তরাষ্ট্রের অতি গোপনীয় সরকারি গবেষণাগারের ক্লিনার তিনি। এই গবেষণাগারে রাখা হয়েছে মাছ-মানুষ বৈশিষ্টের এক বিশেষ প্রাণীকে। সেই প্রাণীর সঙ্গে এলিসার প্রেম। কেন হচ্ছে এমন? সবকিছুর উত্তর রয়েছে সিনেমাতেই।

সিনেমায় কথা বলা হয়েছে সমকামিতা নিয়েও। উজ্জ্বল সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যাওয়ার ছোট প্লটও রেখেছেন নির্মাতা।

বিজ্ঞাপন

অস্কারের সবচেয়ে বেশি শাখায় মনোনয়ন পাওয়া ছবিটি তাদের বেশি ভালো লাগবে, যারা ম্যাজিক রিয়েলিজম পছন্দ করেন। শুধু ফ্যান্টাসি নয়, ভালোবাসা-থ্রিল ও অন্ধকারের ভাষা খুঁজে নিয়ে চলচ্চিত্রের রস নিতে পারেন দর্শকরা।

সারাবাংলা/পিএ

 

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন