বিজ্ঞাপন

নওগাঁয় ‘বাগান ভাঙা’র উৎসব শুরু

May 26, 2018 | 3:17 pm

।। আব্দুর রউফ পাভেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।   

বিজ্ঞাপন

নওগাঁ: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রশাসনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নওগাঁয় শুরু হয়েছে বাগানে বাগানে আমপাড়ার উৎসব। শনিবার (২৬ মে) সকালে গোপালভোগ দিয়ে সীমিত পরিসরে চলছে আম সংগ্রহ। তবে এক সপ্তাহ পর শুরু হবে হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আম পাড়ার কাজ। কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর নওগাঁ জেলায় ১৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। আর ফলনের আশা রয়েছে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন।

সরেজমিনে নওগাঁর বরেন্দ্র পোরশা উপজেলায় দেখা যায়, যতদূর চোখ যায় শুধু আম গাছ আর আম গাছ। গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় পুষ্ট আকর্ষণীয় আম। আর বাগানিরা সেই আমগুলো নামানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ আম পাড়ছেন, আবার কেউ ছোট-বড় প্রক্রিয়া শেষে সেগুলো প্যাকেট করছেন।

বিজ্ঞাপন

বাগানিরা বলছেন, এখন একেবারেই শুরুর দিক, তাই এ সপ্তাহ জুড়ে নামবে শুধু গোপালভোগ আর গুটি জাতের আমগুলো। আর পরের সপ্তাহ থেকে নামবে অন্যান্য  জাতের আম। আবহাওয়া অনুকূল ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় এবার ফলন হয়েছে বেশ ভালো। তবে দাম নিয়ে কিছুটা শংকিত তারা।

বিজ্ঞাপন

বাগানি ফয়সাল হোসেন বলেন, আজ থেকে গোপালভোগ আম পাড়া শুরু হল। তবে লেংড়া, হিমসাগর ও ফজলি আম পাড়তে আরও দেরি হবে। গোপালভোগ আম গাছে দুই- একটি করে পাকা শুরু করেছে। এখন এটি পাড়ার সময়।

তবে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পারছি এখন বাজারে আমের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এটি হলে আমাদের জন্য ক্ষতি হবে। আমের দাম আমাদের কাছে ন্যূনতম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি হতে হবে। কারণ শ্রমিক মজুরি, পরিচর্যা খরচ, স্প্রে খরচ আমরা তুলতে পারব না। আমরা আশাবাদী এই দামে আম বিক্রি হবে।’

আরেক বাগানি আখতারুল বলেন, ‘গত বছর থেকে এবার আমের ফলন ভাল হয়েছে। কারণ এবার আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। আর আমাদের এলাকায় এবার শিলাবৃষ্টি হয়নি। এবার রোগের প্রকোপও গতবারের চেয়ে কম। আমরা যদি আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আম বিক্রি করতে পারি তবে আমরা গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।

বিজ্ঞাপন

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমের গায়ে নির্দিষ্ট চিহ্ন দেখে বোঝা যায় সেটি পাকা না কাঁচা। সময়ের পূর্বে আম পাড়লে সেগুলো খাওয়ার অনুপযোগী এবং বাজার নষ্ট হয়। তাই মাইকিং করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে আম পাড়লে আমাদের এলাকার আমের সুনাম নষ্ট হবে।’

সারাবাংলা/টিএম/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন