বিজ্ঞাপন

নতুন ভোগান্তিতে অনশনরত শিক্ষকরা

January 19, 2018 | 4:34 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

নবম দিনের মতো রাজপথে রয়েছে অনশনরত শিক্ষকরা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাত-দিন কাটছে পথেই। শৈত্যপ্রবাহ কেটে গিয়ে গত দু’দিনে ঢাকা তাপমাত্রা বেড়েছে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাড় কাঁপানো শীত কমলেও, দুর্ভোগ কমেনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই জুমার নামাজ আদায় করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

ফরিদপুর থেকে আসা শিক্ষক হারুনুর রশীদ বলেন, দু’দিন হলো শীতের তীব্রতা কমেছে। তবে এখন নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গোসল করার প্রয়োজন হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় সমস্যা। জানি না, কতদিন এ সমস্যা ভোগ করতে হবে।

বছরের শুরুতে যেখানে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর কথা- সেখানে দাবি আদায়ের আন্দোলনে রাজপথে শিক্ষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস তো দূরের কথা- যোগাযোগও করা হয়নি এখন পর্যন্ত। এই দুঃখই এখন কুরে কুরে খাচ্ছে প্রতিটি শিক্ষককে।

বিজ্ঞাপন

এদিন সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এ মত জানান আমরণ অনশনরত শিক্ষকরা।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা থেকে এসেছেন রোকেয়া সুলতানা নামে এক শিক্ষক। তিনি বলেন, আমরা এতোগুলো শিক্ষক এখানে এভাবে পড়ে আছি, অথচ সরকার এটিকে আমলেই নিচ্ছে না- এটা কেমন কথা! কেন আমরা এভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি সে বিষয়টি সরকারকে শুনতে হবে।

বিজ্ঞাপন

জুমার নামাজে বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় সমৃদ্ধি কামনা করা। জুমার খুৎবা পড়েন কুমিল্লার শিক্ষক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। নামাজে অংশ নেন শতাধিক শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৭ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শুক্রবার তাদের অনেকেই সেরে উঠেছেন- জানান শিক্ষক নেতারা। তারা বলেন, এখনো বেশকিছু শিক্ষক অসুস্থ রয়েছেন তবে তাদের অবস্থা অতটা খারাপ নয়। দু’চারজন রয়েছেন যাদের অনশনস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/এমএস/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন