বিজ্ঞাপন

নাইকো দুর্নীতি মামলায় মতামত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার মওদুদের

January 21, 2019 | 8:10 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় এজাহার ও চার্জশিটে উল্লেখ থাকলেও আইনজীবী হিসাবে আইনগত মতামত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে নাইকো দুর্নীতে মামলায় চার্জ শুনানির সময় তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে বা এজাহারে লিগ্যাল এডভাইজার হিসাবে যে মন্তব্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে নাইকো দর্নীতি মামলায় তিনি( মওদুদ আহমদ) যে মতামত দিয়েছেন তার কোন ডকুমেন্ট আদালতে সাবমিট করেননি। বা আমাকে দেখানো হয়নি বলে দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন খালেদা জিয়াকে দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে কারাগার থেকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয়। প্রায় দেড়ঘন্টার শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় মধ্যে তিনি আদালতে কোন কথা বলেননি।

এসলাসে বিচারক ওঠার পরপরেই দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল প্রথমেই বলেন, ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন কাজল, শহীদুল ইসলামের পক্ষেই চার্জ শুনানির জন্য দিন ঠিক রয়েছে বলে আদালতে জানান। এরপরে বিচারক চার্জ শুনানি শুরু করার অনুমতি দেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার পক্ষেই চার্জশুনানি শুরু করেন। আংশিক শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এরপর অপর আসামি শহিদুল ইসলাম পক্ষে অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামন আংশিক শুনানি করে সময়ের আবেদন করেন। এই মামলার আরেক আসামি একেএম মোশাররফ হোসেন অসুস্থ রয়েছে বলে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন জানালে বিচারক শেষ বারের মত তা মঞ্জুর করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন অস্থায়ী আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান, সাবেক বিএনপির অ্যাটর্নি জেনারেল এ,জে,এম মোজাম্মদ আলী, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন মেসবাহ, জিয়া উদ্দিনসহ ।

নাইকো দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

এই মামলায় তিনজন পলাতক। এরা- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এছাড়া ২০১৮ বছরের ৫ মে এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মারা যাওয়ার ফলে বর্তমানে আসামি সংখ্যা দশ।

২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।

বিজ্ঞাপন

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭শ ৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

সারাবাংলা/এআই/জেডএফ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন