বিজ্ঞাপন

নিজস্ব উদ্ভাবনের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি: কৃষিমন্ত্রী

January 17, 2018 | 7:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকার ও কৃষকের নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি, বলেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

বুধবার ( ১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে শুরু হওয়া বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)- ২০১৮ এর উদ্বোধনী দিনে, ‘বিল্ডিং রেজিলেন্স ইন এগ্রিকালচার অ্যান্ড এক্সট্রিম ক্লাইমেট কন্ডিশন’ শীর্ষক কার্যনির্বাহী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকরা নিজেরাই জলবায়ু সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করছে। সরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোও চরমভাবাপন্ন জলবায়ুতে উৎপাদনক্ষম ফসলের জাত উদ্ভাবনের গবেষণা চালাচ্ছে। তবে গবেষণার বিভিন্ন ধাপে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করছি তারা আমাদের সহায়তা করবেন।

বিজ্ঞাপন

কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানো; বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে পরিবেশ সৃষ্টি; বৈষম্য দূর ও সবার জন্য স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা; দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি; নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ; স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ; টেকসই উন্নয়নে নগর-সুবিধা উন্নয়ন এবং এসডিজির অর্থায়ন এ আটটি বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু হওয়া বিডিএফ-এর আজ ছিল প্রথমদিন।

কৃষিমন্ত্রী তার অধিবেশনে ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের উল্লেখ করে বলেন, আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি।

কৃষকদের সহায়তা করার সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে মতিয়া বলেন, ক্ষুদ্র কৃষকের উন্নয়নে সরকার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। সে লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কৃষক ক্লাব গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে কৃষকের সব সেবা সহজলভ্য।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ নেটওয়ার্ক এখন খুব ভালো। সমস্যা আছে, তবে তা জটিল নয়। কৃষককে বীজ, সার ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের উন্নয়নে প্রস্তুত রয়েছি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, সাইক্লোন, লবণাক্তটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির গভীরতা নিচের দিকে নামছে। ফসল উৎপাদনে নীতিগত চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে মঈনুদ্দিন আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে করণীয় সম্পর্কে এখনো আমাদের তেমনভাবে জানা নেই।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এ আতিক রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের ফসল উৎপাদনকে ব্যাহত করছে উল্লেখ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের রাজধানী হওয়া উচিত।

এই অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এইচ ই রেনে হোলেসটিন, জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেভিড ডুলান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী।
সারাবাংলা/ ইএইচটি/এমএ

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন