বিজ্ঞাপন

নির্বাচনী এলাকায় চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি এমপি ফজলে করিমের

April 16, 2018 | 4:45 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে হাঁটা, এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখ, অভাব-অভিযোগের কথা শোনা, যেখানে সন্ধ্যা- সেখানেই তাবু টানিয়ে শুয়ে পড়া, খাওয়-দাওয়া হবে সেখানেই!

চারদিনের এই ব্যতিক্রম কর্মসূচি শুরু করেছেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। চট্টগ্রামের রাউজান থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।

সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাউজান উপজেলা গহিরা ইউনিয়ন থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে এই পদযাত্রায় দলের হাজারখানেক নেতা-কর্মী অংশ নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, গত ১৮ বছর ধরে রাউজানের মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমি সংসদে আছি। সংসদ সদস্য হিসেবে আমার কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, যেসব উন্নয়ন করেছি সেগুলো সম্পর্কে তাদের মনোভাব এবং আর কী কী করা প্রয়োজন সেটা জানতেই এই কর্মসূচি শুরু করেছি। একইসঙ্গে সারাদেশে এই সরকারের আমলে যে উন্নয়নের জোয়ার চলছে সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরব।

সকালে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর সময় সংসদ সদস্যের সঙ্গে রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল কুমার পালিতসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা ছিলেন। সবার মাথায় ছিল গোলাপি রঙের ক্যাপ এবং গায়ে মুজিবকোট আকৃতির গোলাপি রঙের পোশাক।

শ্যামল কুমার পালিত সারাবাংলাকে বলেন, “এমপি সাহেব চারদিনে ১৫০ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন। যেখানে সন্ধ্যা হবে সেই ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে অথবা সুবিধাজনক স্থানে এমপি সাহেব এবং সঙ্গীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তাবুর ভেতরে অথবা খোলা ময়দানে মশারি টাঙিয়ে রাখা হবে সবাইকে। প্রতিটি ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা এমপি সাহেবকে বরণ করবেন এবং ইউনিয়নের সীমানায় গিয়ে বিদায় জানাবেন। এভাবে চারদিন হাঁটার পর বৃহস্পতিবার তিনি নিজের বাড়িতে ফিরবেন।”

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাউজান আসন থেকে ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফজলে করিম। সালাহউদ্দিন কাদেরের ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদেরকে পরাজিত করে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে অবশ্য গিয়াসের কাছে তিনি পরাজিত হন।

কিন্তু রাউজানের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ২০০১ সাল থেকে দুইবার গিয়াসকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

সারাবাংলা/আরডি/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন