বিজ্ঞাপন

নির্মাণ সামগ্রীর কারণে ফ্ল্যাটের দাম বাড়তে পারে ২০-২৫ শতাংশ 

March 20, 2018 | 4:23 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রড সিমেন্ট ও পাথরের দাম বাড়ায় ফ্ল্যাটের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রিহ্যাব নেতারা। একই সঙ্গে বাড়ির জন্য ঋণে ব্যাংক সুদের হার দুই অংকের ঘরে উঠায় ফের হুমকির মুখে পড়তে পারে আবাসন খাত। রিহ্যাব নেতাদের দাবি, খাতটিকে বাঁচাতে দ্রুত নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমানোসহ ব্যাংক সুদের হার কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও অস্থির অবস্থার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে নির্মাণ শিল্প। এ খাতের প্রধান উপকরণ ৬০ গ্রেডের রডের বর্তমান প্রতি টনের বাজার মূল্য ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকা এবং ৪০ গ্রেডের রডের বাজার মূল্য ৫৩ থেকে ৫৬ হাজার টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) হিসেবেও এক সপ্তাহ আগে ৬০ গ্রেডের রডের বাজার মূল্য ছিল ৫২ থেকে ৫৩ হাজার আর ৪০ গ্রেডের রডের বাজার মূল্য ৪২ থেকে ৪৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরে রডের বাজার মূল্য প্রতি টনে বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, একই সাথে বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্টের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ইটের দাম বেড়েছে হাজারে এক হাজার টাকা। ছয় মাস আগে বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রতি বস্তা সিমেন্ট বিক্রি হত ৩৬০ থেকে ৩৯০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকায়। একই সময়ে পাথর আমদানিতেও খরচ বেড়েছে।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে গৃহায়ন খাতে ঋণের সুদহার বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে এই খাতের সুদ এক অংকের ঘরে কমিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদের হার আবারও বাড়াচ্ছে। কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমরা অনুসন্ধান করে দেখলাম অধিকাংশ ব্যাংক হোম লোন দুই অংকের ঘরে নিয়ে গেছে। দুই একটি প্রতিষ্ঠানে এই হোম লোনের সুদের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ। ফলে আবাসন খাতে আবারও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাবের জৈষ্ঠ্য সহ সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হবে। প্রকারভেদে রড়ের দাম টনে অন্তত ১৪ হাজার টাকা কমানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। তবে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে অবিক্রিত ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১১ হাজারের উপরে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন