বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র : ৯৩১ একর জমি অধিগ্রহণ করবে সরকার

February 20, 2018 | 8:33 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : পটুয়াখালীতে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নিমার্ণের জন্য ৯৩০ দশমিক ৬১ একর জমি অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াতে সরকারের ব্যয় হবে ৮১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এরইমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ‘পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণ ’নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের পাঠিয়েছে। কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

ওই কর্মকর্তা জানান, জাতীয় অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) কাছে পাঠানো হয়েছে। একনেকের আগামী সভায় প্রকল্পটি উত্থাপন করা হবে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা জানান, অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল)।

এ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস প্রকল্পটি সম্পর্কে সারাবাংলাকে জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে পটুয়াখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি ৫৫০ দশমিক ৫৮ একর ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া ১১ কিলোমিটার নদী তীরে ভূমি সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ৩ কিলোমিটার ভুমি সংরক্ষণ ঢাল নির্মাণ এবং প্রকল্প এলাকার ১২০টি পরিবারের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রকল্পের সার সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্লান অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

নির্মিতব্য এই কেন্দ্রটি স্থাপন করবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল)-এর। কয়লাভিত্তিক এই কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াট করে পৃথক দুটি ইউনিট নির্মিত হবে। জ্বালানি বহুমুখীকরণ করার যে পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের সে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী এই কেন্দ্রে কয়লা ব্যবহ্নত হবে।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে মূল প্রকল্প ইসিএ অর্থায়নে যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নের জন্য এপিএসসিএল ও চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (এনার্জি চায়না) এর মধ্যে ২০১৭ সালের ১৩ জুলাইয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এপিএসসিএল ও চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড এর মধ্যে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর একটি এন্টারপ্রাইজ এবং একটি জেনারেশন কোম্পানি। এর মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৮৭৬ মেগাওয়াট। যার বর্তমান ডি-রেটেড বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬২৭ মেগাওয়াট। সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে এপিএসসিএল এর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা  ২০২১ সালের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ হাজার ১৪৭ মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সারাবাংলা/জেজে/এইচএ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন