বিজ্ঞাপন

পণ্য পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ৩১৯ বন্দোবস্তকারী পেলেন স্মার্টকার্ড

April 21, 2018 | 8:26 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বন্দোবস্ত’ প্রথায় শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ(সিএমপি)। এজন্য ব্রোকার কিংবা বন্দোবস্তকারীদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু করেছে পুলিশ।

প্রথম পর্যায়ে শনিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১৯ জন ব্রোকারকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেন।

ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ভাড়া নেওয়ার জন্য বন্দোবস্তকারীদের বিরোধের জেরে গত জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীতে পরিবহন ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা মো. হারুন খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ বন্দোবস্তকারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনার দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়।

বিজ্ঞাপন

ব্রোকারদের তালিকাভুক্ত এবং পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজে সম্পৃক্ত নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, যাচাই-বাছাই করে যারা সত্যিকারের বন্দোবস্ত ব্যবসায় জড়িত আছেন তাদের মধ্যে ৩১৯ জনকে আমরা স্মার্টকার্ড দিয়েছি। ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিই আমাদের অনুমোদন নিয়ে এই স্মার্টকার্ডের বন্দোবস্ত করেছে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। যারা বন্দোবস্ত প্রথাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন এবং মালিক সমিতি যাদের চিনবে কিংবা সুপারিশ করবে, আমরা যাচাই করে তাদের তালিকাভুক্ত করব। তবে তালিকায় নাম নেই এমন কেউ আর এই ব্যবসায় জড়িত হতে পারবে না।

এডিসি রউফ আরও বলেন, পণ্য পরিবহনের জন্য ব্রোকারদের মাধ্যমে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ভাড়া নেওয়ার এই প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।  তবে তাদের কোন ‍তালিকা এতদিন ছিল না। এর ফলে যে কেউ গাড়ি ভাড়া নিয়ে দিতে পারত। এলাকার প্রভাবশালী যার ইচ্ছা সে-ই এসে ব্রোকার সেজে ব্যবসা করত। এর ফলে বিরোধে খুনোখুনি পর্যন্ত হয়েছে।

তালিকাভুক্ত ৩১৯ জন ব্রোকারের প্রত্যেককে অঙ্গীকারনামা আকারে তৈরি ফরমে নাম-পিতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, ছবি, মোবাইল নম্বর এবং মালিক সমিতির সভাপতির সুপারিশসহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়েছে। এরপর মিলেছে পরিচয়পত্র।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা পণ্য দেশের অন্যান্য জেলায় নিয়ে যাবার জন্য সাধারণত আমদানিকারক নিজে অথবা সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবহন মালিক প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হয়।  মালিক প্রতিষ্ঠান অর্ডার অনুযায়ী প্রয়োজনীয় গাড়ি সরবরাহ করতে সক্ষম না হলে বন্দোবস্তকারীর দ্বারস্থ হয়। বন্দোবস্তকারী নির্দিষ্ট অংকের কমিশনের বিনিময়ে গাড়ি ভাড়া করে দেন। এছাড়া পরিবহন ঠিকাদারও গাড়ি ভাড়া করে দেয়।

শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর মাদারবাড়িতে বালুর মাঠ প্রাঙ্গণে  পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ, সিএমপির কোতয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম, ডবলমুরিং থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম, সদরঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

সারাবাংলা/আরডি/টিএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন