শব্দ দূষণে মানব জীবনই নয়, জীববৈচিত্র্যের জন্যও ক্ষতিকর
২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:৩৯
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
শব্দ দূষণ চোখে দেখা যায় না বলে এর ক্ষতিকর বিষয়টি আমরা উপেক্ষা করি। অথচ শব্দ দূষণ মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করে। মাত্রাতিরিক্ত শব্দ শুধুমাত্র মানবজীবনেই নয়, জীববৈচিত্র্যের জন্যও ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার ধানমণ্ডি আবাহনী মাঠের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের, স্যোসাল অ্যাডভান্সমেন্ট ফোরাম এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে শব্দ দূষণের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী যেকোনো যন্ত্রপাতি দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারের অনুমতি নেই এবং সে সময় রাত ১০টা পার হতে পারবে না। অথচ এই আইন প্রতিনিয়ত ঢাকা শহরে ভাঙা হচ্ছে। এ জন্য আইনানুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন হওয়া দরকার।
মানববন্ধনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড.আহম্মেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, শব্দদূষণ এত বেশি বেড়ে গেছে, যা সহ্যক্ষমতা অতিক্রম করেছে।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের পরিচালক গাঊস পিয়ারি বলেন, আমাদের আনন্দে অন্যের ক্ষতি হবে- এমন আনন্দ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এ জন্য সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। গোপীবাগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য প্রশাসনকে সোচ্চার হতে হবে।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রোগ্রাম মেনেজার মারুফ হোসাইন বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা অনুযায়ী শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কেউ সেটা মানছেনা।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিসিএইচআরডি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক শব্দ দূষণের শিকার হলে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এ কল করার আহ্বান জানান।
সারাবাংলা/এসও/জেএ