প্রকৃতি অন্তঃপ্রাণ একজন মুকিত মজুমদার বাবু
২৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৪২
মুকিত মজুমদার বাবু। ইমপ্রেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তবে ব্যবসায়িক পরিচয় ছাপিয়ে দেশ-বিদেশে তিনি প্রকৃতিবন্ধু হিসেবেই বেশি পরিচিত। পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে রয়েছে তার নিবিড় সখ্য। হৃদয় দিয়ে তিনি অনুধাবন করেন প্রকৃতির ভাষা।
প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা আর স্বপ্ন নিয়ে ২০০৯ সালে মুকিত মজুমদার বাবু গড়ে তোলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলা ও অভিযোজন সম্পর্কিত গণসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। চ্যানেল আইতে করছেন ধারাবাহিক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’। ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠানটির ৩২৯টি পর্ব প্রচার হয়েছে।
মুকিত মজুমদার বাবু প্রকৃতি নিয়ে নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে। প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা প্রকৃতিবিষয়ক বেশ কিছু বই। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আমার অনেক ঋণ আছে’, ‘আমার দেশ আমার প্রকৃতি’, ‘আমার রূপসী বাংলা’ ‘সবুজ আমার ভালোবাসা’, ‘স্বপ্নের প্রকৃতি’।
তার তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর আয়োজিত হচ্ছে ব্যতিক্রমী প্রকৃতিমেলা। তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে নির্মাণ করছেন প্রকৃতি বিষয়ক বিভিন্ন টক শো, ডকুমেন্টরি ও টেলিফিল্ম। প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতি বছর ফাউন্ডেশন থেকে দেয়া হচ্ছে ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক’। বন্যপ্রাণী অবমুক্তকরণ, পাখিশুমারী, জাতীয় চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যানে গাছের পরিচিতি ফলক সংযুক্তিকরণ, পরিবেশ ও প্রকৃতিবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া এবং পরিবেশ সচেতনতাবিষয়ক স্কুল প্রোগ্রাম করাসহ বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছেন।
মুকিত মজুমদার বাবু একজন প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। এখন যুদ্ধ করছেন তবে তা একটি সবুজ বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধ।
পরিবেশবিষয়ক বহুমাত্রিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এর মধ্যে আছে ‘ফোবানা এ্যাওয়ার্ড-২০১৬’, জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৫’, ‘ঢাকা আহছানিয়া মিশন চাঁদ সুলতানা পুরস্কার-২০১৫’, ‘বিজনেস এক্সিলেন্সি এ্যাওয়ার্ড সিঙ্গাপুর-২০১৪’, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১৩’, ‘এইচএসবিসি-দি ডেইলি স্টার ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড।