বিজ্ঞাপন

পাঁচে ৫ আরিফুলের, মায়ের অনুপ্রেরণায় সেরা বৃষ্টি

March 12, 2018 | 7:30 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ যুব গেমসের তৃতীয় দিনে সুইমিং পুলে ঝড় তুলেছেন ঢাকা বিভাগের আরিফুল। পাঁচটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ৫টিতে জিতেছেন স্বর্ণপদক। বালিকা বিভাগে খুলনার খাদিজা আক্তার বৃষ্টি পেয়েছেন ২টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য।

বাংলাদেশ যুব গেমসের সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। পাঁচটি স্বর্ণপদক জিতে বালক বিভাগ থেকে সেরা সাঁতারু নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিভাগের আরিফুল ইসলাম। পাঁচটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে পাঁচটিতেই স্বর্ণ জিতেছেন কিশোরগঞ্জের তরুণ এই সাঁতারু। বালিকা বিভাগ থেকে সেরা সাঁতারু নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা বিভাগের খাদিজা আক্তার বৃষ্টি। বিকেএসপির এই ছাত্রী দুটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্যপদক জিতেছেন।

বালক বিভাগে আরিফুলের সঙ্গে কেউ লড়াই-ই করতে পারেননি। পুলে কেবল তারই রাজত্ব ছিল। তার সঙ্গে লড়াই করা খুলনার আল আমিন ও মিঠু মিয়া একটি করে স্বর্ণ জিতেছেন। এছাড়া একটি করে রৌপ্য জিতেছেন এই দুজন। তবে বালিকা বিভাগে ধুন্ধুমার লড়াই হয়েছে। খাদিজা আক্তার বৃষ্টির মতো দুটি স্বর্ণ জিতেছেন খুলনার সুম্মা খাতুন ও রুপা খাতুন।

বিজ্ঞাপন

তবে একটি রৌপ্য বেশি জেতায় এগিয়ে যান খাদিজা আক্তার বৃষ্টি। সাঁতারের সর্বশেষ ইভেন্ট ২০০ মিটারে স্বর্ণ জিতেছেন খুলনার আরেক সাঁতারু ফাতেমা আক্তার কেয়া।

আরিফুলের রাজত্বের পরও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ঢাকা বিভাগ। শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে খুলনা বিভাগ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আটটি স্বর্ণ ও আটটি রৌপ্য জিতেছে খুলনা বিভাগ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকা বিভাগ জিতেছে ছয়টি স্বর্ণ, ছয়টি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ। এই দুই দলের দাপটে চূড়ান্ত পর্বের বাকি দুই বিভাগ চট্টগ্রাম ও রাজশাহী সুবিধা করতে পারেনি। একটিও স্বর্ণ জিততে পারেনি তারা। চট্টগ্রাম ৯টি ব্রোঞ্জ ও রাজশাহী তিনটি ব্রোঞ্জ জিতেছে।

পারিবারিক ঐতিহ্যে সাতাঁর শিখেছেন, আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণপদক জয়ের স্বপ্ন দেখছেন সাঁতারু আরিফুল, ‘বড় ভাই সাঁতারু ছিলেন। তাকে দেখেই সাঁতারে এসেছি আমি। বিভিন্ন পর্যায়ে পদক জিতেছি। স্বর্ণপদক সব সময়ই আনন্দ দেয়। এখানে পাঁচটি স্বর্ণ জিতেছি, বেশ ভালো লাগছে। এই ধারাবাহিকতা বড় আসরেও ধরে রাখতে চাই। বাংলাদেশকে স্বর্ণ এনে দিতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বালিকা বিভাগের সেরা সাঁতারু খাদিজা আক্তার বৃষ্টি তার মা’র অনুপ্রেরণায় এই সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন- ‘দুটি স্বর্ণ পদক ও একটি রৌপ্য জিতেছি। অনেক ভালো লাগছে। সেরা সাঁতারু নির্বাচিত হওয়ায় আরো বেশি ভালো লাগছে। আমার পরিবারের অনেকেই সাঁতারু। মা সাঁতার শেখান। ভাই সাঁতারু ছিলেন। তাদের দেখেই সাঁতারে এসেছি। তাদের এবং আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করবো আমি।’

সেরা সাঁতারুর খোঁজে ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে উঠে এসেছেন খুলনার ফাতেমা আক্তার কেয়া। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও ২০০ মিটারে দাপট দেখিয়েছেন তিনি। কিশোরী এই সাঁতারুর চোখেমুখের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিলো স্বর্ণ জিতে তৃপ্ত তিনি। বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। তবে বাটারফ্লাইটা আমার খুব প্রিয় ইভেন্ট। সেটা নেই বলে আফসোস হয়েছে। ওটা থাকলে স্বর্ণ জিততাম বলে আশা ছিল আমার।’

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন