বিজ্ঞাপন

পান্তা উৎসবে বর্ষাবরণ

June 24, 2018 | 8:37 pm

।। শুভজিত পুততুন্ড, কলকাতা থেকে ।।

বিজ্ঞাপন

গরমের হাত থেকে মুক্তি আর বর্ষার আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়াতে আয়োজন করা হয় পান্তা উৎসবের।

স্থানীয় আরোগ্য নামক সংস্থার আয়োজনায় শনিবার (২৩ জুন) আয়োজন করা হয় এই পান্তা উৎসবের।

এই পান্তা উতসবের মূল আকর্ষণ ছিল পান্তা ভাত। সেই সঙ্গে কাঁচা মরিচ, আলু ভর্তা, পিঁয়াজের সঙ্গে মাছের মুড়ো দিয়ে ঘন্ট, পোনা মাছ ভাজা, মাছের ডিমের বড়া, পোস্তর বড়া, চুনো মাছের চচ্চড়ি, ইলিশ মাছ ভাজা, ভেটকি মাছের ঝাল। শেষ পাতে চাটনি আর আইসক্রিম, প্রায় ৪০০ জনের পাতে পান্তা ভাতের সঙ্গে এই সমস্ত মেনু তুলে দিয়ে পালন করা হলো পান্তা উৎসব।

বিজ্ঞাপন

এলাকার বাসিন্দারা রীতিমতো হৈ হৈ করে খেলেন পান্তা ভাতের সঙ্গে এই সমস্ত লোভনীয় মেনু। এই পান্তা উতসবে যোগ দিয়ে পান্তা খেতে রীতিমতো লাইনও লেগে যায়। উদ্যোক্তাদের মতে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গরম ভাত স্বাভাবিকভাবেই শরীরের গরমের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সেখানে পান্তা ভাতের শীতলতায় শরীর ও মনকে ঠাণ্ডা করতেই এই পান্তা উতসবের আয়োজন। অস্বস্তিকর গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে আর সেই সঙ্গে প্রাক বর্ষার আহ্বানে এই পান্তা উৎসবের আয়োজন।

সংস্থার অন্যতম কর্ণধার ইন্দ্রজিত দত্ত জানান, আমরা জানি আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পান্তা খাওয়ার প্রচলন আছে। বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখে পান্তা উৎসব শুরু হয়। সেখানে নামি দামী হোটেল ও রেস্তোরাতেও পান্তা পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে আমরা যারা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তারা পান্তা খাই। কিন্ত যারা এই দেশীয় তারা পান্তা ভাত খাওয়ার মজাটাই জানেন না। পান্তা ভাতেরও যে উপকারিতা আছে সেটা এই পান্তা না খেলে বোঝা যাবে না। হরেক রকম ভাজাভাজি আর অবশ্যই কাঁচা মরচ দিয়ে পান্তা খাওয়ার স্বাদটাই আলাদা। গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে পান্তার গুণ অপরিসীম। তাই একদিকে গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং বর্ষাকে আহ্বান জানাতে আমাদের এই পান্তা উৎসবের আয়োজন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন