বিজ্ঞাপন

পুরনো মোড়কে ফিরছে স্বাধীনতা কাপ

November 19, 2018 | 11:33 pm

।। জাহিদ-ই-হাসান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিপিএল পেছালো। নির্বাচনের পরে নেয়া হয়েছে দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরটি। সেই জায়গায় মাঠে গড়াবে স্বাধীনতা কাপ। তবে, এবার আবারও খোলস পাল্টাচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম টুর্নামেন্টটি। বিদেশি ফুটবলাররাও সুযোগ পাচ্ছেন খেলতে। এতে করে বলা চলা তরুণ-উদীয়মান ফুটবলারদের সুযোগ খর্ব হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেষবার তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সমালোচনার মুখে বিদেশিদের দরজা বন্ধ করা হয়েছিল স্বাধীনতা কাপে। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই জাতীয় দলে ঢোকার সুযোগ করে নিয়েছিলো উদীয়মান ফুুটবলাররা। এবার সেই আবারও সেইপথ বন্ধ হতে চলেছে!

যদিও এমনটা মনে করেন না পেশাদার ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী, ‘গত বছর স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে এই টুর্নামেন্ট দেখতে কেউ আসে নাই। জমজমাট খেলাও উপহার দিতে পারে নি কেউ। তাই বাইলজে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার বিদেশিরাও খেলতে পারবে।’

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতা কাপ

ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে শুধু নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের তিনজন বিদেশি। চারজন বিদেশি ফুটবলার একাদশে সুযোগ করে নিতে পারবে। তাতে ম্যাচে বিদেশিদেরই দাপট। ক্লাবগুলোও বিদেশিদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে খেলার। তাতে সুযোগের অপেক্ষায় সাইড বেঞ্চেই বসে থাকতে হচ্ছে দেশের উদীয়মান ফুটবলারদের। সুযোগ পাচ্ছেন মূল একাদশে।

গতবছর এই টুর্নামেন্ট দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলে ঢোকার সুযোগ করে নিয়েছিলেন মনির, মানিক, বিপলু, স্বাধীন, সুফিল, জাফর, মতিনের মতো ফুটবলাররা। এ বছর বাইলজে পরিবর্তন এনে স্বাধীনতা কাপে বিদেশিদের খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার শিকার হচ্ছে বাফুফে।

বিজ্ঞাপন

তবে সালাম মুর্শেদীর ধারণা ভিন্ন, ‘স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিজের প্রতিভা দেখিয়েই জায়গা করে নিতে হবে। যার জায়গা সে নিজেই করে নিবে। এটাই চ্যালেঞ্জ।’ ফেডারেশন কাপের টুর্নামেন্ট শেষ হলেই স্বাধীনতা কাপ শুরু হবে ৩০ নভেম্বর থেকে। গতবছর স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হলেও এ বছর বিদেশি ফুটবলাররা থাকছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাফুফের এই সিনিয়র সহ-সভাপতি।

এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন দেশের ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। স্বাধীনতা কাপই উদীয়মানদের যোগ্যতা প্রমাণের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি, এই টুর্নামেন্ট দিয়েই তরুণ ফুটবলাররা তাদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পায়। গতবারও প্রচুর ফুটবলার পাওয়া গেছে। যেহেতু বিদেশিরা খেলতে পারবে তাতে উদীয়মানদের সুযোগ কমে যাবে। বেশিরভাগ ক্লাবই বিদেশিদের খেলাবে। তাই বাফুফের ‘খামখেয়ালি’ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের করার আহ্বান জানাই।’

স্বাধীনতা কাপে স্থানীয়দের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের খেলানোর সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আশ্বাস- অন্তত একটি টুর্নামেন্টে শুধু দেশি ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজন করা হোক। তাতে উদীয়মানরা সুযোগ পাবে। জাতীয় দলে প্রবেশ করার জন্য সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ পাবে।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন