বিজ্ঞাপন

`প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে’

July 11, 2018 | 7:40 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, প্রধানত তিনটি কারণে গত ১০ বছরে দেশে অসাধারণ উন্নতি হয়েছে। প্রথমত প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রগতিশীল ও দক্ষ নেতৃত্ব, দ্বিতীয়ত সরকারের নেয়া নানান কলাকৌশল এবং সাধারণ মানুষের কর্মদক্ষতা। এই তিনটি কারণে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিনত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘আগামীর সিলেট উন্নয়নের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এসব কথা বলেন।

আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর এমিরেটাস ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, পিকেএসএফ সভাপতি ড.কাজী খলিলুজ্জামান আহমদ, বিশিষ্ট অভিনেতা পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, বিএমএ‘র মহাসচিব ড. এহতেশামুল হক দুলাল, রুপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুজহাত চৌধুরী, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সময় বিমান থেকে নামার সময় আকাশ থেকে শুধু অন্ধকার আর ঝুপড়ি ঘর দেখা যেত। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। গত ১০ বছরে দেশের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন আর বিদ্যুতায়নের ফলে এখন আর সেই অবস্থা নেই।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ অনেক মেধাবী। সে শিক্ষিত হোক অর্ধশিক্ষিত হোক তাকে কোনো কাজ একবার বুঝিয়ে দিলেই সে অনায়াসে তা করতে পারে। ফলে, দেশের উন্নয়নে সাধারণ মানুষের যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা সিলেট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য চীনা কোম্পানিকে টেন্ডার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা যোগাযোগ সচিবকে ঘুষ দিতে চাওয়ায় তাদের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। ফলে কাজটি পিছিয়ে গেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার অবসর নেয়ার সময় এসেছে। যে কোন সময় বিদায় নিলেও আমি একটা তৃপ্তি নিয়ে যেতে পারবো। আমার চলে যাবার সময়ে যে তৃপ্তি নিয়ে যাচ্ছি তা ২০০১ সালে যখন অবসর নিতে চেয়েছিলাম তখনতার মত না। তখন যদি আমি অবসরে যেতাম। আজকের মত তৃপ্তি থাকত না।

বিজ্ঞাপন

পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, দেশের সাথে সমানভাবে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে সিলেট। বিদেশ থেকে প্রচুর রেমিট্যান্স আসছে। এই রেমিট্যান্সের টাকা যথাযথভাবে সিলেটে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই অর্থ আমাদের শিল্পায়নে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, সিলেট এক সময় শিক্ষায় অনেক অগ্রসর ছিল,পরে তা পিছিয়ে যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, সিলেটের উন্নয়নের জন্য হাওর এলাকার রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে নজর দিতে হবে। মনু নদীর উন্নয়ন এবং শহরে যে বস্তি রয়েছে সেদিকে নজর দিতে হবে।

পিযুষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, সিলেটে ৫০টির বেশি বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে বোঝা যায় সারা দেশে কি পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে,তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা সম্ভব হয়েছে জন নেত্রী শেখ হাসিনার জন্য কারন সিলেট প্রধানমন্ত্রীর খুব পছন্দের জায়গা।

ডা: এহতেশামুল হক দুলাল বলেন, সিলেটে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে, সিলেটে কোর মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নাই, কোন ডেন্টাল কলেজ নাই। এই দুটি প্রতিষ্ঠান করা জরুরী বলে মনে করছি। এছাড়াও সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া বলেন, ঢাকা সিলেট যোগাযোগ ব্যবস্থা যতটা আধুনিক হওয়া দরকার। বাস্তবে তা হয়নি। তাই এইদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন