বিজ্ঞাপন

‘ফলাফলের উত্থান-পতন স্বাভাবিক ঘটনা’

July 19, 2018 | 5:11 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পাবলিক পরীক্ষায় কোনো বছর ফল ভালো হওয়া বা কোনো বছর খারাপ হওয়াকে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে করছেন ভিকারুননিসা নূন কলেজর অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘ফলাফলের উত্থান-পতন স্বাভাবিক ঘটনা। কোনো বছর পাসের হার বেশি হলে কোনো বছর তা কমও হতে পারে।’

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

২০১৮ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫— দু’টোই কমেছে এ বছর। গত বছর মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

তবে এ বছরের সার্বিক ফলাফল গত বছরের চেয়ে খারাপ হলেও ভালো হয়েছে ভিকারুননিসার ফল। এ বছর এ কলেজটির মোট ১ হাজার ৮৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করতে পারেনি মাত্র চার জন। তাদের দু’জন বিজ্ঞান বিভাগের, দু’জন মানবিকের। কলেজটিতে ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সার্বিকভাবে কলেজটিতে এ বছর পাশের হার ৯৯.৭৮ শতাংশ।

অধ্যক্ষ জানান, এ বছর কলেজটি থেকে ৯৯৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছরের চেয়ে যা ৫৩ জন বেশি। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৯২৩ জন, মানবিকের ২২ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৫২ জন।

ফলাফলের সাফল্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল উল্লেখ করে অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফলই জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি নয়। জিপিএ-৫ পেতেই হবে— এমন কোনো কথাও নেই। ভালো মানুষ হওয়াটাই জরুরি। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাই দেই।’

বিজ্ঞাপন

বেলা দেড়টায় ভিকারুননিসা কলেজে ফলাফল আসে। এর আগেই অনেক শিক্ষার্থীই ইন্টারনেট থেকে জেনে যায় ফল। তারপরও সবাই কলেজে ছুটে আসে ফলাফলের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

একপর্যায়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশের আনন্দে যোগ দেয় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও। তারা ড্রাম বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। এক বা দুই বছর পর তো এই দিনটির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে তারাই।

সারবাংলা/এমএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন