বিজ্ঞাপন

ফাঁকা ঢাকা, নিরাপত্তায় বিশেষ পরিকল্পনা ডিএমপির

August 20, 2018 | 10:35 pm

।। উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুরো ঢাকার নিরাপত্তাবলয়সহ সড়কে শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে নেওয়া হয়েছে সে ব্যবস্থাও। একই সঙ্গে কোরবানির জন্য কেনা পশুগুলো যাতে চুরি না হয় সে বিষয়েও বিশেষ নজর দেবে পুলিশ।

সোমবার (২০ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় এবার প্রায় ২০ হাজার পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে। তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। বাসা বাড়ির দারোয়ানদের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তা বজায় রাখবে।

তিনি বলেন, ঈদের সময়টাতে মাদকের ব্যবহার বেড়ে যায়। আমরা মাদকের লাগাম টেনে ধরবো। মাদকের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ যদি মনে করেন, পুলিশ ঈদের সময় নজর অন্যদিকে দেবে। তাহলে বোকার রাজ্যে বাস করবেন। ডিএমপি যেদিকেই নজর দিক না কেন মাদকের দিক থেকে নজর সরাবে না।

বিজ্ঞাপন

কমিশনার বলেন, তেমনিভাবে জঙ্গি মোকাবেলায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হয়েছে। সামনে নতুন নতুন চ্যালেজ মোকাবেলায় জঙ্গিবাদ রুখে দেওয়া হবে। বাংলাদেশে আর কোনো হলি আর্টিজান হতে দেওয়া হবে না। আমরা সেই সক্ষমতা অর্জন করেছি। গোয়েন্দা পুলিশ, ডগ স্কোয়াট, সোয়াতসহ পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তায় অংশ নেবে ডিএমপি।

পুলিশ জানিয়েছে, এবার কোরবানির ঈদে প্রায় ৫০ লাখ লোক ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাবে। সিসিটিভি মনিটরিং, দারোয়ান, এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আনসারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পুলিশ পেট্রোলিং ব্যবস্থা, কমিউনিটি পুলিশসহ বেশ কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে পুলিশ।

কমিউনিটি পুলিশের ওয়ারী বিভাগের সমন্বয়কারী কাজী আলতাফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ঢাকার অনেকেই গ্রামে গেছে। বাসা বাড়ি তালা মেরে গেলেও অনেক সময় চুরি হয়ে থাকে। সেটি যাতে না ঘটে সেজন্য ঈদের আগে ও পরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঈদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আনসার, মসজিদ কমিটি, কমিউনিটি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সভা হয়েছে। যার যার অবস্থান থেকে নিরাপত্তা রক্ষা করা হবে। বিশেষ করে মাদক ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় নজরদারি জোরদার করতে বলা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, চাইলে যে কেউ ৯৯৯ নম্বরে কল করে যে কোনো বিষয়ে পুলিশের সহায়তা নিতে পারবে। থানা পুলিশ তো থাকছেই।

এদিকে র‌্যাবের পক্ষ থেকেও ঈদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে র‌্যাব মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিশেষ তল্লাশি চালাবে। এমনকি ফাঁকা রাস্তায় যাতে কেউ যাতে বেপরোয়া গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সোমবার (২০ আগস্ট) সারাবাংলাকে বলেন, পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের পক্ষ থেকে ঈদে দুই সপ্তাহের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গরুর হাটে নিরাপত্তা শেষে ফাঁকা ঢাকায় যাতে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, চুরিসহ অন্যান্য অপরাধ যাতে না ঘটে, সেজন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রায় এক হাজার র‌্যাব সদস্য ঢাকায় নিরাপত্তা দেবে। সঙ্গে থাকবে ডগ স্কোয়াটসহ বিশেষ টিমও।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, চাইলে যে কেউ র‌্যাবের ফেসবুক থেকে যে কোনো ধরণের সহায়তা নিতে পারবে।

সারাবাংলা/ইউজে/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন