বিজ্ঞাপন

ফাইনালের ওই চ্যালেঞ্জ আবার নিতে চান মিরাজ

October 17, 2018 | 5:29 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

অনুশীলনে প্রথম থেকে থাকতে পারেননি, ভাইরাস জ্বর থেকে এখনো সেরে ওঠেননি পুরোপুরি। তবে খেলার পথে সেটা বড় কোনো বাধা নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তো মেহেদী হাসান মিরাজ বড় ভরসাই, বিশেষ করে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে। এশিয়া কাপের ফাইনালে যেমন নিয়েছিলেন, এবাও নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হবেন না বলেই জানিয়েছেন মিরাজ।

এশিয়া কাপের ফাইনালে তার ওপেন করাটা চমক বললেও কম বলা হয়। পরে জানা গেছে, ধারণাটা ছিল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। ফাটকাটা কাজেও লেগেছিল, লিটন দাসের সঙ্গে মিরাজের শতরান পেরুনো ওপেনিং জুটিতেই বাংলাদেশ দেখছিল বড় স্বপ্ন। যদিও শেষ পর্যন্ত তা আর পূরণ হয়নি। তবে মিরাজ সেদিন যেমন করেছিলেন, সুযোগ পেলে এবারও চান চ্যালেঞ্জ নিতে, ‘আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। কঠিন অবস্থার চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করি। আর পেছন থেকে যখন টিম ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট দেয়, আমাদের সিনিয়র প্লেয়ায়রা সমর্থন দেয়, সবাই যখন ব্যাক আপ করে, তখন নিজের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে যায়। ফাইনালের আগের রাতে যখন আমাকে বলা হয় ওপেন করতে হবে, তখন মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই বলেছিল-করতে পারবি, সমস্যা নাই। তখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটা বাড়ল। তখন তারা আরও কিছু কথা বলেছিল, যা শুনে আমি আরও বেশি আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম।’

ওই ফাইনালের পর মিরাজ তাই বলছেন, দলের প্রয়োজনে যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত, ‘ফাইনাল ম্যাচ ওপেন করেছি, আমিও ভাবিনি আমি ফাইনালে ওপেন করব। মাশরাফি ভাই ম্যাচের আগের দিন রাতে বলেছেন, সবাই যারা সিনিয়র আছে সবাই অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। এই জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এটা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় নামতে হতে পারে। আমার মানসিকতা থাকবে, যে কোনো সময় এমন কিছু হতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

ওয়ানডেতে অবশ্য মিরাজের আসল চ্যালেঞ্জ হবে বল হাতে। শুরুতে ভালো করতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে অফ স্পিনে দারুণ কার্যকর তিনি। যদিও উইকেট সেই সাক্ষ্য দেবে না, কিন্তু মাশরাফি নিজেই বলেছেন মিরাজ এখন বল হাতে দারুণ উন্নতি করছেন। উইকেট না পাওয়া নিয়ে তাই খেদ নেই মিরাজের, বরং নিজের কাজটা করতে পেরেই খুশি, ‘ওয়ানডেতে আমি প্রথম দিকে যখন বল করি, প্রতিপক্ষ দলের ওপেনাররা যখন রান তাড়া করে খেলে, তখন আমার দায়িত্ব থাকে রান আটকে বল করা। আমি যদি রান থামিয়ে রাখতে পারি তাহলে আমার যে বোলিং পার্টনার থাকবে, সে উইকেট বের করে নিতে পারবে। হয়তো আমি উইকেট পাচ্ছি না, হয়তো আমার পার্টনার পাচ্ছে বা আরেকজন পাচ্ছে। দিন শেষে কিন্তু দলের সাহায্য হচ্ছে। এটাই আমি চেষ্টা করি, আমার হয়তো উইকেটের দরকার নেই। আমার পার্টনার যে আছে, হয়তো মাশরাফি ভাই, মোস্তাফিজ, সাকিব ভাই বা রুবেল ভাই উইকেট বের করে নেবে।’

সাকিব না থাকায় ব্যাটিং সামর্থ্যের আরও কিছু প্রমাণ মিরাজের কাছে চাইবে দল। মিরাজ অবশ্য সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা চান না, ‘সাকিব ভাই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। আমার এমন কোনো অনুভূতি আসে না। সাকিব ভাই যখন খেলেন, তখন চেষ্টা করি অলরাউন্ডার হিসেবে দলের জন্য ছোট ছোট অবদান রাখার। তিনি অনেক উঁচু মানের ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশকে অনেক দিন সার্ভিস দিয়ে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন র‌্যাংকিংয়ের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন। তার সাথে আসলে আমার তুলনা চলে না।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন