ট্রাম্পের জন্য সোনার টয়লেট!
২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:৩৩
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজ থেকে স্পেনের গিগেনহাইম জাদুঘরের কাছে একটা চিত্রকর্ম চেয়ে পাঠানো হয়েছিলো। নগদ অর্থে কেনা হবে সেই অফার। সে চিত্রকর্মও আবার যেনোতেনো কোনও শিল্পীর নয়। স্বয়ং ভিনসেন্ট ভ্যানগগের।
বলা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়ার খুব ইচ্ছা তাদের শয়নকক্ষে সর্বকালের সেরা এই চিত্রকরের আঁকা ছবিটি রাখেন।
১৮৮৮ সালে ভ্যানগগ এঁকেছিলেন ‘ল্যান্ডস্কেপ উইথ স্নো’ নামের ছবিটি। যাতে দেখানো হয়েছে- এক ফরাসী কেতার ভদ্রলোক মাথায় কালো হ্যাট পরে কুকুরটিকে সাথে নিয়ে বরফ পড়া বিশাল মাঠে হাঁটছেন।
কিন্তু গিগেনহাইমের কিউরেটর হোয়াইট হাউজের এই খায়েস মোটেই সহজভাবে নিলেন না। তিনি বরং আরেকটি অফার পাঠালেন হোয়াইট হাউজকে। বললেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি চান, জাদুঘরে সংরক্ষিত সোনায় তৈরি টয়লেটটি নিতে পারেন।
এই বলে কিউরেটর ন্যান্সি স্পেকটর সোজা ই-মেইল পাঠিয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউজকে।
তাতে লিখেছেন, ছবিটা দেওয়া যাবে না। ট্রাম্প চাইলে ১৮ ক্যারেট খাঁটি সোনায় তৈরি পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য টয়লেট প্যানটি নিতে পারেন। টয়লেটটির নামও কিন্তু রাখা হয়েছে ‘আমেরিকা’। দেশটির উপচে পড়া সম্পদের প্রতীক হিসেবেই এই টয়লেটটি বানিয়ে জাদুঘরে রাখা হয়েছিলো।
সমসাময়িক শিল্পী মরিজিও ক্যাটলানের বানানো এই ‘আমেরিকা’ বছরখানেক ধরে শোভা পাচ্ছে গিগেনহেইম জাদুঘরে। এর পঞ্চম তলায় বসানো টয়লেটটি দর্শণার্থীদের জন্য ব্যবহার ও দর্শণ উভয় কাজেই খোলা রাখা আছে।
স্পেকটর লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডি যদি চান, তাদের জন্য টয়লেটটি খুলে পাঠানো সম্ভব।
ওয়াশিংটনপোস্টের খবরে এসব কথাই বলা হয়েছে।
তবে টয়লেটটিও যে সরাসরি বিক্রি করা হবে তা নয়, যুক্তরাষ্ট্র্রের প্রেসিডেন্টকে সেটি দীর্ঘমেয়াদে ঋণ হিসেবে দিতে চান স্পেকটর। তিনি লিখেছেন, এটিও কিন্তু কম দামী বস্তু নয়। আর ভঙ্গুরও বটে। তবে আমরা প্রয়োজন হলে এটি ব্যবহারের সব নিয়ম-কানুন শিখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
গেল বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর মেইলটি যে হোয়াইট হাউজকে পাঠানো হয়েছে তা ওয়াশপোস্টকে নিশ্চিত করছেন গিগেনহেইমের মুখপাত্র সারা এটন। তবে হোয়াইট হাউস আর এই মেইলের কোনও উত্তর দেয়নি।
সারাবাংলা/এনএস