Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিউজিল্যান্ডের অনলাইন সেলিব্রেটি ভবঘুরে বিড়াল


৫ মার্চ ২০২০ ১৭:২২

নিউজিল্যান্ডের এই অনলাইন সেলিব্রেটি ভবঘুরে বিড়ালের নাম মিটেনস। তুর্কি অ্যাঙ্গোরা গোত্রের এই বিড়াল ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে।  তাকে দেখা যায় রাজধানী শহর ওয়েলিংটনের বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্ববিদ্যালয়, পোস্ট অফিস, ক্যাথোলিক চার্চে ঘুরে বেড়াতে। তাকে মালিকবিহীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে একজন পথচারী স্থানীয় পুলিশ স্টেশনেও দিয়ে আসে।

কিন্তু, কিছুদিন পরেই সে আবার নেমে আসে ওয়েলিংটনের রাস্তায়।  বারবার মিটেনসের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যাওয়ার পর ওয়েলিংটনের একজন অধিবাসী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি পেজ খোলেন। পেজের নাম দেন দ্য ওয়ান্ডারাস অ্যাডভাঞ্চারস অব মিটেনস।বর্তমানে ওই পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ৩০ হাজার।

এমনকি মিটেনসের নামে পেজ রয়েছে উইকিপিডিয়াতেও। সেখানে তাকে উল্লেখ করা হয়েছে পোষাপ্রাণী/ লোকাল সেলিব্রেটি/ মিডিয়া পারসোনালিটি হিসেবে।

বর্তমানে, ওয়েলিংটনের সকল অধিবাসীর জন্য মিটেনসের সঙ্গে একটি সেলফি একান্ত আরাধ্য বিষয়ে পরিনত হয়েছে। এ ব্যাপারে বিড়ালের মালিক সিলিভিও বুরিনসমা বলেছেন, মিটেনসকে নিয়ে তারা যখন অকল্যান্ডে থাকতেন তখনও সে এমন বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াতো। ওয়েলিংটনে আসার পর থেকে তার ঘোরাঘুরির স্বভাব আরও বেড়েছে। তবে ফেসবুক পেজের কারণে এবং অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ায় তাকে খুজে পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে।

মিটেনসের আরও এক সহদোর আছে যার নাম লেট্টি।  সে ২০ মিটার পর্যন্ত ঘুরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু মিটেনস দুই কিলোমিটার ঘুরেও ক্লান্ত হয় না। পুরো ওয়েলিংটন শহর সে তার খেলার জায়গা বানিয়ে নিয়েছে। সে তালাবদ্ধ থাকতে পছন্দ করে না, তাই তার মালিকও তাকে মুক্ত অবস্থায় রাখে যেনো সে ঘুরে বেড়াতে পারে।

তবে, ওয়েলিংটনবাসীর উন্মাদনার বাইরেও মিটেনসের ভবঘুরে স্বভাব নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। বুরিনসমা ব্যতীত আর কেউ তার খাবারের ব্যবস্থা না করায় সে না খেয়ে থাকে। এছাড়াও রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় ট্রাফিক লাইটে না দাঁড়ানোর কারণে তার জীবন সংকটাপন্ন হতে পারে বলে অনেক ওয়েলিংটনবাসী জানিয়েছেন।

অ্যাঙ্গোরা ওয়েলিংটন নিউজিল্যান্ড মিটেনস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর