Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কদরের রাতে মুসলিম হিসেবে করণীয় কী?

ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৫

‘শব’ বা ‘লাইল’ অর্থ রাত। আর ‘কদর’ অর্থ মর্যাদা। শবে কদর বা লাইলাতুল কদর অর্থ ‘মর্যাদার রাত।’ কোনও কোনও আরবি অভিধানের বর্ণনা মতে ‘কদর’ শব্দের অর্থ ‘ভাগ্য’ ধরে এ রাতকে ‘ভাগ্য নির্ধারণ রজনী’ও বলা হয়। লাইলাতুল কদরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো- এ রজনীতে ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।

পবিত্র কোরআনের সূরা কদরের ১ থেকে ৫ নং আয়াতে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি পবিত্র কোরআনুল কারীমকে লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছি। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হলো- হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত। এ রাতে ফেরেশতাগণ ও জিবরাঈল (আ.) তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে প্রত্যেক বিষয় নিয়ে অবতীর্ণ হন। এটা এক শান্তিময় রজনী- যা ফজর উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’

পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মোহাম্মাদীর জন্য ‘শবে কদর’ নামে এমন এক পুরস্কার দান করেছেন, যা অন্য কোনও নবীর কোনও উম্মতকে দান করা হয়নি।

মহিমান্বিত এ রজনীতে প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য করণীয় কিছু আমল রয়েছে। কারণ এ রাতটি বছরে একবারই আসে এবং একটি কদরের রাত পাওয়ার অর্থ হলো- হাজার মাস একনিষ্টভাবে মহান প্রভূর ইবাদত কাটানোর সৌভাগ্য অর্জন করা।
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের প্রথম করণীয় হলো- পবিত্র রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বেজোড় রাত যেকোনও মূল্যে ইবাদত- বন্দেগীতে কাটানোর নিয়ম করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

দ্বিতীয় করণীয় হলো- প্রতিটি বেজোড় রাতে মাগরিব, ইশা এবং ফজরের নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে মসজিদে আদায় করা।
তৃতীয় করণীয় হলো- সালাতুত তাসবীহ ও বিভিন্ন নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির- আজকারসহ যে কোনও ধরনের নেক আমলে সময় কাটানো।

চতুর্থ করণীয় হলো- বেশি বেশি তাওবা- দোয়া- মোনাজাত করা। তিরমিজি শরীফের ৩৫১ নং হাদীসে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘একদা আমি রাসুলকে (সা.) জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি; তবে আমি কি করব? তখন রাসুল (সা.) আমাকে এই দোয়া পাঠ করার জন্য বললেন। দোয়াটি হলো: (আরবি উচ্চারণ) ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’ বাংলা অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন আপনি। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’

পঞ্চম করণীয় হলো- এ রাতে দান- সাদাকাহ করাকেও অধিক উত্তম বলা হয়েছে।

একটি বিষয় এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেই নয়, তা হলো- পিরিয়ড চলাকালীন এই সময়ের হায়েজা নারীগণ এ রাতে কীভাবে আমল- ইবাদত করবেন? তারা কি তাহলে মহিমান্বিত এ রজনীর সাওয়াব- সৌভাগ্য অর্জন থেকে বঞ্চিত থাকবেন? না, অবশ্যই না। পিডিয়ডে থাকা বা হায়েজা নারীগণ এ রাতে যে কোনও ধরনের নামাজ ও কোরাআন তেলাওয়াত না করে জায়নামাজে বসে বেশি বেশি দোয়া- ইস্তিগফার- তাওবা ও জিকির- আজকার করতে পারবেন এবং দান- সাদাকাহও করতে পারবেন।

সারাবাংলা/এসবিডিই

কদরের রাতে মুসলিম হিসেবে করণীয় কী?


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর