বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনের শোকে কান উৎসবে নীরবতা

May 17, 2018 | 5:19 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

নাকবা বা মহাবিপর্যয়ের পর পেরিয়ে গেছে ৭০ বছর। এই ৭০ বছরে ডেড সি’র পাড়ে আরো অনেক বার আগুন জ্বলেছে, সেই আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেছে নাজারেথ-বেথেলহেমের মতো অনেক পুরনো শহর। অনেক শিশু যৌবনের দিকে যেতে যেতে খুন হয়েছে, প্রেম পাওয়ার বদলে অনেক যুবক পেয়েছে মৃত্যুর ছোবল। তবুও এ আগুন, এ মৃত্যুর মিছিল থামার কোনও লক্ষণ নেই। সর্বশেষ সোমবারেও অন্তত ষাট জনের রক্তে রঙিন হয়েছে কেনান উপত্যকার ‘পবিত্র’ ভূমি।


আরও পড়ুন: ফ্রেডি মার্কারিকে নিয়ে ‘বোহেমিয়ান রেপসোডি’


গাজা সীমান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে সাধারন ফিলিস্তিনি হত্যার প্রতিবাদে সারা দুনিয়া এখন উত্তাল। ক্ষোভের ঢেউ এসে লেগেছে ফ্রান্সের কান শহরেও। ভূ-মধ্যসাগর তীরবর্তী শহরটিতে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানেই জায়নিস্ট দখলদারদের নিপীড়নের প্রতিবাদে এক মিনিট নীরব থেকেছে চলচ্চিত্র তারকারা।

উৎসবের ভিলেজ ইন্টারন্যাশনালে ফিলিস্তিনের প্যাভিলিয়নের সামনে অনেক পশ্চিমা চলচ্চিত্র তারকা ও সাংবাদিক নীরবতা পালন করেন। দেশটির শোষিত জনগোষ্ঠির প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে হাতে হাত রেখে গোল হয়ে দাঁড়ান তারা। এসময় ‘ইউজুয়াল সাসপেক্ট’ তারকা অভিনেতা বেনিকো দেল তোরোও যোগ দিয়ে ইসরায়েলি সেটলমেন্টের বিরোধীতা করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কান উৎসবে এবারই প্রথম উড়েছে ফিলিস্তিনের পতাকা। সিনেমাতেও দ্রুত উন্নতি করছে দেশটি। ফিলিস্তিনি পরিচালক হানি আবু-আসাদের ‘ওমর’ ছবিটি ২০১৩ সালের অস্কারে সেরা বিদেশি ভাষার ছবি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল। ‘গোস্ট হান্টিং’ শিরোনামে ফিলিস্তিনের আরেকটি সিনেমা বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে জিতেছে সেরা প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার।

সিনেমাসূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গেও ভালোই যোগাযোগ রয়েছে ফিলিস্তিনিদের। ‘ওমর’ ছবির অভিনেতা ইয়াদ হুরানী সম্প্রতি অভিনয় করেছেন একটি বাংলাদেশি ছবিতেও। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরবর্তী সিনেমা ‘শনিবার বিকেলে’ দেখা যাবে তাকে।

সারাবাংলা/টিএস/পিএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন