বিজ্ঞাপন

ফেঁসে যেতে পারেন ইমরান, সাইবার আইনে মামলা হচ্ছে

April 12, 2018 | 8:29 pm

।।উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে তিন দিন ধরে চলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ভিসি বাংলোতে হামলার ঘটনায় সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা হচ্ছে। সেই মামলায় ভিসির বাংলোতে হামলার আগে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা উস্কানি ছড়িয়েছে তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ডিএমপির সাইবার ক্রাইম টিমের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে এ তথ্য জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন, মামলার সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। যেকোন সময় শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হবে। মামলার বাদি হবে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ টিম। ভিসি ভবনে নাশকতা করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যারা উস্কানি দিয়েছে তাদের এই মামলায় গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

কারা গ্রেফতার হতে পারেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি সিদ্দিকের মৃত্যু হয়েছে  এমন গুজব যারা ছড়িয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে। তিনি জানান, ইমরান এইচ সরকারের ফেসবুক থেকেও এই গুজব ছড়ানো হয়েছে, যার প্রমাণ সাইবার ক্রাইমের কাছে রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেদিন সিদ্দিক মারা যাওয়ার মিথ্যা খবরকে শহীদ হিসেবে চালিয়েছেন। এটা দেখে গভীর রাতে হল থেকে মেয়েরা বাইরে বের হয়ে আসে। অনেক বহিরাগতও ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। এদের অনেকেই ওই রাতে তাণ্ডব চালায়। এক্ষেত্রে উস্কানি দাতা হিসেবে মিথ্যা খবর পরিবেশনের জন্য আইনের আওতায় আনা হবে।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। যারাই সেদিন গুজব ছড়িয়ে ভিসি বাংলো ও ক্যাম্পাসে নাশকতা চালাতে উৎসাহ দিয়েছে তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তাণ্ডবকারী ও এর নেপথ্যে উস্কানিদাতাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

গোয়েন্দা পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, সাইবার আইনের মামলা নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সাথে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে করণীয় দিকগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।

সাইবার আইনে কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে (৯ এপ্রিল) চারটি মামলা হয়েছে। এরপর আর কোন মামলা হয়নি। তবে সাইবার আইনে একটি মামলা হতে পারে বলে জানতে পেরেছি।

প্রসঙ্গত গত ৮ এপ্রিল দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ মোড়ে এসে রাস্তায় বসে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় চারপাশের রাস্তার যান চলাচল। রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল মেরে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। পরে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তুললে আন্দোলন সংঘর্ষে রুপ নেয়। রাতভর চলে সেই সংঘর্ষ। ওই রাতেই এক দল দুর্বৃত্ত ভিসির বাংলোতে নাশকতা চালায়।

সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

 

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন