বিজ্ঞাপন

ফের হকি লিগ পেছানোর গুঞ্জন, কঠোর অবস্থানে ফেডারেশন

March 21, 2018 | 4:13 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ফাইনাল হেরেছে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল। পুরো ম্যাচে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) নষ্ট করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। জিমি-চয়নদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আর মনযোগ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অথচ ওমান যে কটা সুযোগ পেয়েছে তা গোলে পরিণত করেছে।

ওমানে নিয়মিত লিগ হয়। খেলোয়াড়রা সারা বছর খেলার মধ্যেই থাকে। বাড়তি আত্মবিশ্বাস আর পূর্ণ মনযোগের বহি প্রকাশ তাই তাদের শরীরি ভাষায় স্পষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্নই বটে।

লিগ হওয়ার নামে বারবার পেছানো হচ্ছে দলবদল। এ নিয়ে তিনবার দলবদলের সময় পেছানো হয়েছে। লিগ হয় না এক বছর ধরে। খেলোয়াড়রাও খেলার বাইরে অনেকদিন ধরে। তার আগে তিন বছর হকি স্থবির হয়ে ছিল।

বিজ্ঞাপন

তার মধ্যে ফের দলবদলের সময় পেছানোর আবেদন করেছে ক্লাবগুলো। আরও এক মাস চাই দল গোছাতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নারাজ বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনও (বাহফে)। আর সহ্য করতে চায় না বাহফে। কঠোর অবস্থান নেবে বাধ্য হয়েই।

বাহফের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক জানালেন, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়। এবার একটু কঠোর তো হতেই হবে। যারা আসবে খেলবে, যারা আসবে না তাদের নিশ্চিত রেলিগেশন। একটি বিষয় নিয়ে আর কতবার কথা বলা যায়, পেছানো যায়। মাঠে তো খেলা গড়াতে হবে। কত সময় আর থমকে থাকবে হকি। একটা না একটা জায়গা থেকে শুরু তো করতেই হবে।’

এদিকে, ফেডারেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দ্বিধাবিভক্ত। শুরুর দিকে একটি পক্ষ শক্ত অবস্থানে থাকায় নির্বাচন না দিয়ে কালক্ষেপণ করা হয়। ফলে দল থেকে কেউ কেউ ছুট দিলেও আশ্বস্ত হতে পারেনি অন্য পক্ষ। ফলাফল অ্যাডহক কমিটি। ঢেলে সাজাতে প্রস্তুত তারা। কিন্তু সবার সায় না পাওয়ায় যত বিড়ম্বনা।

বিজ্ঞাপন

দলবদলে আরো এক মাস সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছে ওয়ারী, বাংলাদেশ স্পোর্টিং, ঊষা ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান। তাতেই চটেছেন আবদুস সাদেক। সর্বশেষ দলবদলের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল ২৭-২৯ মার্চ। এখন কি না ফের পেছানোর আবেদন। ওই ক্লাবগুলোর প্রতিনিধির ভাষ্যমতে, ‘আমরা চাই মাঠে খেলা হোক। তবে দলকে ভালো করে সাজাতে হলে কিছু সময়ের প্রয়োজন। টাকা-পয়সারও একটা ব্যাপার থাকে। মাঠে নেমে ডজন ডজন গোল হজম করতে কে চায়। যারা ক্লাবে টাকা দেন তারা বেশি গোল হজম পছন্দ করেন না। যে কারণে এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছি।’

মাঠে হকি না গড়ালে কষ্টটা খেলোয়াড়দেরই বেশি। সারাবছর খেলার বাইরে থাকতে হয়। জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছাড়া বাকিরা বসে থাকে মাসের পর মাস। তারাও চায় হকি মাঠে গড়াক। তাদের কথায়, ‘আমরা খেলতে চাই। ক্লাবগুলোর সাথে বাহফের দ্বন্দ্বে কেন আমরা ভুক্তভোগী হবো। মন ভালো থাকলে অটোমেটিক খেলা ভালো হবে। আগে তো মাঠে খেলা থাকতে হবে।’

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন