বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে: আইনমন্ত্রী

August 18, 2018 | 10:29 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। শনিবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি বার বার একটা কথা বলেছি, আমি আজকেও অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুসুলভ সম্পর্ক। আপনারা দেখেছেন ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে তারা ফিরিয়ে দিয়েছিল। এখন সেখানে চিহ্নিতভাবে একজন খুনি আছে। কিন্তু যেহেতু ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই খুনির অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সে অনেক আইনি লড়াইয়ের মধ্যে চলে গিয়েছে। তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাথে আলোচনারত। তারা কিভাবে আইনিভাবে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যেই বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক আছে। সেটার উপর আস্থা রেখে আমি বলতে পারি তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘আরেকজন আছে কানাডায়। সেখানেও আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা আছে। সমস্যা হচ্ছে এই যে, কানাডায় ইতোমধ্যে একটা আইন হয়েছে। যে আইনে তারা বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। নিজেদের দেশে তারা মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করেছে এবং বিশ্বের যে কোন দেশে যদি মৃত্যুদণ্ড থাকে তারা সেখানে যে অপরাধী মৃত্যুদণ্ড পেতে পারে তাকে ফিরিয়ে দেয় না। সেই ক্ষেত্রেও আমাদের আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। আলোচনাও চলছে। এই প্রতিবন্ধকতা পার হতে পারলেই আমরা হয়তো নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে পারবো।’

এছাড়া বাকিদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে মন্ত্রী বলেন, ‘আর বাকি যারা আছেন, তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমি কোনো বক্তব্য দেব না। কারণ এটা অত্যন্ত গোপনীয়। আমরা যেভাবে এগুচ্ছি আমরা যদি বলি আমরা জানি কোথায় তারা আছেন তাহলে তারা অবস্থান পরিবর্তন করবেন। সেই কারণে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলবো না।’

২১ আগস্ট মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্ট বিচার চলায় এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া আমার অভ্যাস নাই। সেজন্য এ ব্যাপারে কিছু বলবো না। কিন্তু যারা আসামি আছেন। আমরা জানি তারা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক কাজ করেছেন। তবুও আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা সঠিক বিচারপন্থায় এবং পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি। আমরা যেহেতু বাংলাদেশে বিশ্বাস করি। সেই জন্য আমরা তাদের নিজেদের বক্তব্য এই বিচারে তাদের যতটুকু সময় প্রয়োজন সেটুকু তাদের দিয়েছি। যদিও তারা কালক্ষেপন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার মনে হয় যে, বিচার যেভাবে চলছে তাদের সেই অবস্থা খুব একটা থাকবে না। আমি আশা করি, এই বিচার কার্যক্রম শিগগিরই শেষ হবে।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন