বিজ্ঞাপন

বনশ্রী প্লট মালিক সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে নানা সমীকরণ

September 18, 2018 | 4:12 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী প্লট মালিক সোসাইটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা সমীকরণ শুরু হয়েছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে। পুরো এলাকায় ভোটার রয়েছেন বাইশ শ’র মতো। ভোটাররা বলছেন, বনশ্রীর নানান সমস্যা সমাধান করার প্রতিশ্রুতি যারা দেবেন ভোটাররা তাদেরকেই ভোট দেবেন।

সাধারণ ভোটারদের দাবি, রামপুরা বনশ্রী এলাকাকে এখন দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর এক ভাগ পড়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আরেক ভাগ পড়েছে উত্তর সিটি করপোরেশনে। কিন্তু ভোটাররা চাচ্ছেন, তারা যে কোনো একটি সিটি করপোরেশনের আওতায় থাকবেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দোলাচলের মধ্যে পড়ে এলাকার উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। তাই এবার এমন কেউ নেতৃত্বে আসুক যারা এ সমস্যাটির সমাধান করবেন।

রাশেদুল নামে একজন ভোটার বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ঠেলাঠেলির কারণে তিনি চার থেকে পাঁচ বছর থেকে কর দিতে পারছেন না। আমরা কোন সিটির আওতায় সেটাই জানি না। উন্নয়নের কথা বললে, এক সিটি আরেক সিটির দিকে দেখিয়ে দেয়। আবার কর নিতে সবাই চায়। রাস্তার উন্নয়ন হয়নি, রাস্তায় রাতের বেলায় লাইট নেই। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে।’

বিজ্ঞাপন

আবুল কালাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘রামপুরা বনশ্রী এলাকা পুলিশের দিক থেকেও দুই ভাগে বিভক্ত। বেশির ভাগ এলাকাই পড়েছে খিলগাঁও থানার মধ্যে। অথচ রামপুরা থানা খুবই কাছে হওয়া সত্ত্বেও এলাকাবাসীকে যেতে হয় দূরের খিলগাঁও থানায়। এমনকী রামপুরা থানার পেছনের ভবনও খিলগাঁওয়ে পড়েছে। কাজেই খিলগাঁও থানা পুলিশ দূর থেকে এসে অপরাধীদের অনেক সময় পাকড়াও করতে পারেন না।’

এবারের নির্বাচনে যে পরিষদের নেতারা এলাকার এসব সমস্যা সমাধান করবেন তাদেরই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে জানান আবুল কালাম।

২০০৪ সাল থেকে দুই বছর পরপর নির্বাচন হয়ে আসছে। সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে থাকে। সমাজের এলিট শ্রেণির লোকেরা এ নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকে। সবার একটাই উদ্দেশ্য উন্নয়ন কীভাবে করা যায়। এবারে দুই প্যানেলে বিভক্ত হয়ে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২ হাজার ২৬৭ জন ভোটার ভোট দিতে

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে এক প্যানেলে প্রতিদ্বন্বিতা করছেন বাতেন-নিরু পরিষদ। অন্য প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কালাম-হক পরিষদ। উভয় প্যানেলেই ৩৭ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ক্রিকেটার আশরাফুল ইসলামের বড়ভাই মোস্তাক আহমেদ শিপন বাতেন-নিরু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক (গ্যাস-পানি ও বিদ্যুৎ ) পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাকে ঘিরেই ভোটারদের বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে।

ভোটারদের আশা, তরুণ মোস্তাক আহমেদ শিপনই এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে। রাস্তা ঘাটের সমস্যা, নিরাপত্তা, যুব সমাজকে মাদকের ভয়াবহ থাবা থেকে রক্ষা করাসহ নানান উন্নয়নমূলক কাজ করবেন। তিনি এরই মধ্যে বনশ্রী ইয়ুথ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে এলাকার মাদক নির্মূলে কাজ করছেন।

এ ব্যাপারে মোস্তাক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকায় মাদক নির্মুলে ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানে কাজ করা সহজ হবে। এখন আমরা কোনো সিটির আওতায় পড়ি না। কর দিতে পারি না। এই সমস্যাও সমাধান করতে পারব বলে আশা করি।’

নির্বাচনে জয়ী হলে এলাকার উন্নয়নে কেমন অবদান রাখবেন জানতে চাইলে বাতেন-নিরু পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এম এ বাতেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘রামপুরা বনশ্রী এলাকায় আমরা সবাই মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করি। এখানে সবাই সমান। সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনিক থানার কারণে যেসকল জটিলতা তৈরি হয়েছে একই এলাকায় সেই গুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। বিশেষ করে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে বিশেষ ভূমিকা পালন করা হবে। সমাজকে মাদক থেকে মুক্ত রাখতে পারলেই ওই সমাজ স্বর্গে পরিণত হবে।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে কালাম-হক পরিষদের সভাপতি প্রার্থী আবুল কালাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোসাইটির ভোট মানেই রামপুরা বনশ্রী বাসীর আনন্দের লড়াই। ভোটের দিন সবাই আনন্দ করবেন। কে জিতবে সেটি বড় কথা নয়। যেই জিতুক না কেন? আমরা সবাই তাকে সহযোগিতা করব। সমাজ সামনের দিকে নিয়ে যেহে হলে দায়িত্ব কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। তবে আমাদের অঙ্গীকার জিততে পারলে, সবার আগে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রাস্তার কাজে হাত দেওয়া। সিটি করপোরেশনের সাথে কথা বলে কর দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এলাকার মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়াসহ নানারকম উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন