বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা জাতিসংঘের রোমভিত্তিক তিন সংস্থার

February 14, 2019 | 7:37 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশের জিডিপিতে গত দশকে ৬ শতকেরও বেশি প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র ও ক্ষুধা মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে জাতিসংঘের রোমভিত্তিক তিনটি সংস্থার পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এফএও, ডব্লিউএফপি ও আইএফএডির প্রধানগণ পৃথকভাবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানান।

তারা বাংলাদেশ ও এই তিনটি সংস্থার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করায় অত্যন্ত প্রশংসা করেন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি জোরপূর্বক বিচ্ছিন্ন মায়ানমার নাগরিকদের অমানবিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণের পক্ষে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ডব্লিউএফপি বিতাড়িত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য সহায়তা ৫৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বৃদ্ধি করেছে।’

ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর মহাপরিচালক জসি গ্রাজিয়ানো ডি সিলভা অসাধারণ অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং সহযোগিতার শুরু থেকে বাংলাদেশকে এফএও’র ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মূল্যের ৩২৬টি জাতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশে কৃষিখাতে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন স্থানান্তর করার জন্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার জন্য এফএও-এর প্রধানকে অনুরোধ করেন। তিনি এফএও-কে তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, লিচুর মতো উন্নত ফলের জন্য ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন করারও আহ্বান জানান।

ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভলপমেন্ট (আইএফএডি)-এর সভাপতি জিলবার্ট এফ হাউংবো জানান, ‘১৯৭৪ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে অনুদান এবং কম সুদের ঋণ হিসাবে আইএফএডি ১৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করেছে যা প্রকল্পের প্রায় ৪৬৪ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও ১১ দশমিক এক মিলিয়ন পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ৩৩টি গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আইএফএডি ঋণ এবং অনুদান হিসাবে ৭১৭ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।’

ভবিষ্যৎ যাত্রায় বাংলাদেশ ও এফএও-এর মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের জন্য এফএও’র মিডিয়া সেন্টার অর্থমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করেন। অর্থমন্ত্রী ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক কৃষি ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি)-এর গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় ৪২তম অধিবেশনে যোগ দিতে ইতালির রোমে রয়েছেন।

সারাবাংলা/এইচএ/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন