বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আজ আর নবীন নয়: ড. মুহাম্মদ সামাদ

December 14, 2018 | 3:06 pm

পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির আনন্দের পাশাপাশি স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতি উদযাপন করবে বিজয়ের ৪৭তম বার্ষিকী। বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠবে পুরো দেশ। নানা আয়োজনে স্বাধীনতার বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করার পাশাপাশি জাতি ধিক্কার জানাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিও।

মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে সারাবাংলা ডটনেটের পাঠকদের কাছে নিজের বিজয় ভাবনা তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)  অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। বর্তমানে তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি। বাঙালি জাতির গৌরবময় ৪৭তম বিজয় দিবসের প্রাক্কালে মুখোমুখি হয়েছিলেন এসএম মুন্না ও সালেহীন বাবু

বাংলাদেশ আজ ৪৭তম বিজয় দিবসের দোরগোড়ায়। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস। তারপর বিজয় দিবস। আপনার অনুভূতি কী?

বিজ্ঞাপন

মুহম্মদ সামাদ: ৪৭ বছরের এই বাংলাদেশকে আজ আর নবীন বলা যায় না। একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সে জাতির মেধা ও মননের চর্চা যারা করেন, যেমন— বুদ্ধিজীবী, সমাজবিজ্ঞানী, কবি, সাংবাদিক, চিকিৎসা বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা, তাদের নিশ্চিহ্ন করতে হয়। আমাদের দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানী আলীম চৌধুরী, ইতিহাসবিদ সৈয়দ গিয়াসউদ্দীন আহমেদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক), আনোয়ার পাশা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক), মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সাংবাদিক সেলিনা বেগমের মতো মেধাবী মানুষগুলো যারা আমাদের পূজনীয় ও অনুকরণীয়, যারা আমাদের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, পূজনীয় এসব ব্যক্তিদের মেধা-মনন নিশ্চিহ্ন করার জন্য তাদের বেছে বেছে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে, দেশ যেন আর দাঁড়াতে না পারে। কিন্তু সেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচার হয়েছে, এর জন্য আমার অনুভূতি অনেক আনন্দের। আনন্দ-বিষাদে ভরপুর আমাদের জীবন। একদিকে বিজয় দিবস পালন করব। ঠিক তার দুই দিন আগে ‘৭১-এ আজকের দিনে বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। দেরিতে হলেও এর যে বিচার হয়েছে, তার জন্য আমরা আনন্দ বোধ করি। বেদনা বোধ করি তাদের পরিবার, স্বজন, সন্তাদের জন্য; এই যে দীর্ঘদিন বিচারের জন্য একবুক বেদনা নিয়ে অপেক্ষা করতে হলো তাদের, তার জন্য। অনেকে প্রয়াত হয়েছেন। বিচার দেখে যেতে পারেননি। কারও নাতি-নাতনীরা বিচার দেখেছেন। যাই হোক, বিচার হয়েছে। সেজন্য বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। পুরো জাতিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার, জেলহত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে। কাজেই সেদিক থেকে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হলো। বাংলাদেশ একটা মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে পেরেছে।

 

আরও পড়ুন- এ দেশ আমাদের মা, তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে : শাহীন সামাদ

বিজ্ঞাপন

 

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে আমরা কতটুকু অগ্রগামী?

মুহাম্মদ সামাদ: আগের অখণ্ড বাংলা আয়তনে অনেক বড় ছিল। সে সময় থেকেই ধর্মীয় সংস্কৃতি সব সময় সহনশীল ছিল। এখানে তিনবার ধর্মান্তর হয়েছে। হিন্দু থেকে বৌদ্ধ, বৌদ্ধ থেকে মুসলমান হয়েছে লোকরা। এদের সহজ ও মরমী জীবন। এদের সুফিবাদী চিন্তা, শ্রীচৈতন্যের চিন্তা, লালনের চিন্তা। গাজীর গানে আছে— ‘নানা বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ/জগৎ ভরমিয়া চাহিলাম একই মায়ের পুত’। এ চেতনা বাঙালির অন্তরে। এখানে যার যার ধর্ম সে পালন করে। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে এই চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি–জামাত উঠে-পড়ে লেগেছিল। এমনকি সামরিক শাসনে যারা ছিলেন, জিয়া-এরশাদ— এরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলেন। তারপরেও বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় আসার পর ’৭২-এর সংবিধান অনেকটাই ফিরে এসেছে এবং সেই সংবিধানের ভিত্তিতে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’— এই স্লোগানসহ বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অন্যান্য দেশে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বর্ণ-বিদ্বেষ বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ অনেক দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। বাংলাদেশের মতো এত ঘনবসতির এই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। আমরা বাসস্ট্যান্ডে কাউকে যদি কেউ হিন্দু নামে ডাকে বা বৌদ্ধ নামে ডাকে, তাহলে আমরা ফিরেও তাকাই না। আমরা জানি, এরা আমাদেরই ভাই-বোন, আমাদেরই স্বজন। চেহারা এক, পোশাক-আশাক, জীবনধারা সব এক। আসলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবারই দায়িত্ব আছে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব আছে, বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব আছে, রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব আছে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের দায়িত্বটাই প্রধান। রাজনীতিবিদরা ’৭৫-এর পরে অসাম্প্রদায়িক বিষয়টিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সুতরাং রাজনীতিবিদদের কাছে, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছে আমাদের দাবি বা আকাঙ্ক্ষা— তিনি এই চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এই চেতনা আরও সম্প্রসারিত হবে। যে মূল্যবোধের ভিত্তিতে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিলেন, সাড়ে ৪ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম দিলেন, সেই শহীদ, সেই জীবন ও প্রাণের বিনিময়ে, সম্ভ্রমের বিনিময়ে, ’৭১-এর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে আমরা যে চেতনার ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন করেছি, তার মূল কথাই ছিল একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনা। বাংলাদেশে এই চেতনা আরও প্রসারিত হোক, দীর্ঘজীবী হোক। আমরা মিলেমিশে যে যার স্থান থেকে ভালোভাবে জীবনযাপন করি। আমরা আমাদের গান গাই। সংস্কৃতি চর্চা করি। যার যার ধর্ম পালন করি অবাধভাবে। এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা। এই ৪৭ বছরে, বুদ্ধিজীবী দিবসে, সামনের বিজয় দিবসে আমরা এটাই চাই।

বিজ্ঞাপন

 

আরও পড়ুন-  দেশপ্রেমের গল্পে ‘একটি কৃতজ্ঞতাপত্র’

 

মুক্তিযুদ্ধের কোনো বিশেষ স্মৃতি কি আছে যা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায়?

মুহাম্মদ সামাদ: আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি সরিষাবাড়ী রাণী নিদমণি মডেল হাইস্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্র ছিলাম। আমার স্কুলে ক্লাস টেনে পড়তেন কালাম ভাই। আমরা নাইনে উঠলাম। তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেবেন। সে সময় পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করে এবং কালাম ভাইকে ধরে নিয়ে আসে। তারপর তার উরু থেকে একটা পা আলাদা করে ফেলে। তাকে গুলি করে মারে। তার চোখে-মুখে সেই গুলি লাগে। সারামুখ রক্তে ভরে যায়। কালাম ভাইয়ের বাবা তার ছেলেকে দেখতে যান। একটা পা কাটা ছেলেকে কালাম ভাইয়ের বাবা আদর করতে থাকেন। তখন রাজাকাররা তাকে লাথি দেয়। রাজাকাররা সে সময় উদ্ধত হয়ে বলছিল, শুয়োর কা বাচ্চা, তোমারা বেটা হে? কালাম ভাইয়ের বাবা ছেলের মুখে হাত দিয়ে বলছেন, না না। কারণ ছেলের কাছে যাওয়ার আগে আমার গ্রামের চাচারা বলেছিল আপনি ছেলের মুখ দেখতে যান। কিন্তু আপনি ওদের সামনে বলবেন না যে, আপনি কালামের বাবা। বললে আপনাকেও মেরে ফেলবে। এ রকম বলে তাকে সেখানে পাঠানো হলো। তারপর ওখানে পাক-হানাদার বাহিনীর সৈন্যরা, রাজাকাররা যতবার তাকে লাথি দিচ্ছিল, বলছিল শুয়োর কা বাচ্চা, তোমারা বেটা হে? তখন কালাম ভাইয়ের বাবা বারবার না না বলছিলেন। তার চোখের পানি ঝরঝর করে ছেলের মুখে পড়ছিল। আমরা পাশে দাঁড়িয়ে নির্বাক হয়ে দেখেছি। তাছাড়া গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। দূরের গ্রামে ধোঁয়া উঠছে। নারী–পুরুষদের গরুর দঁড়ি দিয়ে বেঁধে সামনে রাজাকার, পেছনে পাকহানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ঘরের গরু-ছাগলও নিয়ে যেতে বাদ রাখেনি। এগুলো আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেত, আমরা দেখতাম। আমাদের নদীতে রাতে অনেক মানুষ মেরে ফেলে দিত। রাতেই সেই লাশ ভেসে যেত। এমনও দেখতাম, একসঙ্গে চারজনকে হাত-পা বেঁধে গুলি করে মেরেছে। বুকে গুলির কারণে গর্ত হয়ে যেত। রক্তে ভেসে যেত সে জায়গা। ডিসেম্বর মাসে মিত্র বাহিনী যখন একত্রে বিমান দিয়ে আক্রমণ করে, তা দেখতাম। রেলের একটা মালগাড়ির ওপর মিত্রবাহিনীর বিমান হামলায় অনেক রাজাকার মারা যায়। আমরা রেডিও শুনতাম। পাটক্ষেতের মধ্যে খড় বিছিয়ে উঁচু বিছানা করে সেখানে রেডিও নিয়ে শুনতাম। ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটি মনযোগ দিয়ে শুনতাম। সংবাদ শুনতাম। শুনে উজ্জীবিত হতাম। রাজাকাররা, পাক বাহিনী যদি টের পেত, তাহলে আমাদের সাথে সাথে মেরে ফেলত। আমরা নিজের বাড়িতে থাকতাম না। নদী পার হয়ে অন্য গাঁয়ে থাকতাম। এ রকম অনেক স্মৃতি আছে।

বিজ্ঞাপন

 

আরও পড়ুন :  বিজয় স্মরণে ‘বিজয়ফুল’

 

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের প্রতি প্রত্যাশা কেমন?

মুহাম্মদ সামাদ: বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৬০ ভাগেরই বেশি কর্মক্ষম। কর্মক্ষম মানে কিন্তু তরুণ। আর অন্যান্য দেশে ৬০ ভাগের বেশি বয়স্ক এবং তাদের নতুন জনসংখ্যা বাড়ছে না। বাংলাদেশের তরুণরা যেন সত্যের চর্চা করে। তারা ইতিহাস জানুক, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হোক। তারা বঙ্গবন্ধুকে জানুক, মুক্তিযুদ্ধকে জানুক। আজকে এই যে বুদ্ধিজীবী দিবস, তরুণরা বিশদভাবে জানুক কীভাবে এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। এসব জানার মধ্য দিয়ে তারা নতুন করে উজ্জীবিত হবে। আজ সারাবিশ্বে আমাদের তরুণরা ভালো কাজ করছে। এই যে স্যাটেলাইট চলে গেছে আকাশে, আলাদা আলাদা তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, মেডিকেল কলেজ হচ্ছে— এগুলো তরুণদের জন্যই তো হচ্ছে। এরা ভালো লেখাপড়া করুক, নিজেদের ইতিহাস জানুক, ঐতিহ্য জানুক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা তাদের ভেতরে উদ্দীপিত হোক। এইভাবে তারা নিজের দেশকে ভালোবাসবে। নিজের দেশের মানুষকে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসবে, সকলেই যেন মিলেমিশে থাকতে পারে। এই তরুণদের জাগ্রত করার জন্য আমাদের মিডিয়া, রাজনৈতিক দলসহ সবার দায়িত্ব আছে।

ষড়যন্ত্র তো থেমে নেই। যেমন— এখন ড. কামাল হোসেন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৫ মার্চের পর কীভাবে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তরুণদের এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তরুণদের উচিত লেখাপড়া করা। সঠিক ইতিহাস জানা। শুধু টেলিভিশন দেখলে হবে না, রিয়েলিটি আর ফিকশনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধ চোখে দেখেছি। এরা নাটক পড়ে, নাটক দেখে, টেলিভিশন দেখে। টেলিভিশন, নাটক দেখে যে অনুভূতি তৈরি হবে আর আমরা নিজ চোখে যা দেখেছি, তার মধ্যে অনুধাবনের পার্থক্য আছে। তাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জানতে হবে, পড়তে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছে তাদের কথা শুনতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের দুঃখ-কষ্ট-বেদনা অনুধাবন করতে হবে। এমনকি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ হোক, গবেষণা হোক। কৃষকের সন্তানরা না খেয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে মানুষ। এগুলো যদি মিডিয়াতে বেশি বেশি প্রচার করা যায়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রসারিত হবে। ফলে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাদের প্রতি ঘৃণা আরও বাড়বে। তরুণরা আরও উদ্দীপ্ত ও শাণিত হবে। এভাবেই তরুণদের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন