বিজ্ঞাপন

বাড়লো গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম

November 24, 2017 | 10:06 am

সারাবাংলা রিপোর্ট

বিজ্ঞাপন
  • প্রতি ইউনিটের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বেড়েছে
  • ২ বছর আগে বেড়েছিল ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবার ৫ দশমিক ৩০ শতাং
  • ২০১৮ সালে ৬১০০ ইউনিট বিক্রিতে বিতরণকারীদের লাভ হবে ১৭শ’ কোটি টাকার বেশি
  • ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর
  • কমানোর যুক্তি আর বাস্তবতা ভিন্ন: বিইআরসি

দেশে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য আবারো বাড়িয়েছে সরকার। গ্রাহক শ্রেণী নির্বিশেষে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট) বিদ্যুতের গড় দাম ৩৫ পয়সা বেড়েছে। অর্থাৎ বিদ্যমান দাম ৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ৮৫ পয়সায় দাঁড়াবে। তবে গ্রাহকশ্রেণী এবং ধাপভেদে এ দাম সাড়ে ৩ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল বর্ধিত মূল্যে পরিশোধ করতে হবে জনগণকে। তবে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়েনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে টিসিবি ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন মূল্যহার ঘোষনা এবং গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। দুই বছর পর এবার দাম বৃদ্ধির হারও বেড়েছে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বিইআরসির প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সারা দেশে ৬ হাজার ১০০ কোটি ইউনিট (কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে। বর্ধিত মূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশী লাভ করবে বিতরণকারী সংস্থা ও কোম্পানিগুলো।

বিজ্ঞাপন

আবাসিক খাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ঢাকা পাওয়্রা ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ডিপিডিসি),ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী (ডেসকো),ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ওজোপাডিকো),নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরেইবি) এর দরিদ্র শ্রেণী বা লাইফ লাইন গ্রাহকরা (০ থেকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) ইউনিট প্রতি তিন টাকা ৫০ পযসা পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ঢাকা পাওয়্রা ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ডিপিডিসি),ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী (ডেসকো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ওজোপাডিকো) লাইফ লাইন গ্রাহকদের আগের মূল্যহার ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৩৩ পয়সা এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) গ্রাহকরা ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা পরিশোধ করতে হতো।

এছাড়া আবাসিক খাতে প্রথম ধাপ ০ থেকে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদেও ইউনিট প্রতি চার টাকা, দ্বিতীয় ধাপে ৭৬ থেকে দুই’শ ইউনিট পর্যন্ত ইউনিট প্রতি পাঁচ টাকা ৪৫ পয়সা, তৃতীয় ধাপে ২০১-৩০০ ইউনিট পর্যন্ত পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা, চর্তুথ ধাপে ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ছয় টাকা ০২ পয়সা, পঞ্চম ধাপে ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত নয় টাকা ৩০ পয়সা এবং ৬ষ্ঠ ধাপে ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীরা ইউনিট প্রতি ১০ টাকা ৭০ পয়সা হাবে বিল পরিশোধ করতে হবে। একইসঙ্গে প্রতি শ্রেণীর গ্রাহকরা প্রতি মাসে ২৫ টাকা সেবা চার্জ দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বিদ্যুৎ খাতের আবাসিক ভোক্তাদের মধ্যে এক থেকে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত পিডিবি, ডিপিডিসি, ডেসকো ও ওজোপাডিকোর গ্রাহকরা ৩ টাকা ৮০ পয়সা এবং আরইবি ও পবিস গ্রাহকরা ৩ টাকা ৮০ পয়সা বিল দিত। ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৪ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ৫ টাকা ৩৬ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারীরা ৫ টাকা ৬৩ পয়সা , ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ৮ টাকা ৭০ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীরা ৯ টাকা ৯৮ পয়সা বিল পরিশোধ করতে হত।

কৃষিতে দাম বেড়েছে ইউনিট প্রতি ১৮ পয়সা

সেচ/ কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাম্পের ক্ষেত্রে সকল কোম্পানীর জন্য ইউনিট প্রতি চার টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। এছাড়া মাসিক চার্জ রাখা হয়েছে ১৫ টাকা। এর আগে কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ পাম্প ব্যবহারকারী পিডিবি, ডিপিডিসি, ডেসকো ও ওজোপাডিকোর গ্রাহকরা ৩ টাকা ৮২ পয়সা এবং  আরইবি ও পবিস গ্রাহকরা ৩ টাকা ৮২ পয়সা পরিশোধ করতো। নতুন মুল্য হার অনুযায়ী কৃষিতে ব্যবহৃত সেচে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ইউনিট প্রতি ১৮ পয়সা।

ক্ষুদ্র শিল্পে ফ্ল্যাট রেট বেড়েছে ৫৪ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ইউনিট প্রতি ৪৮ পয়সা এবং পিক সময়ে ইউনিট প্রতি ৬০ পয়সা বেড়েছে। নতুন মুল্যহার অনুযায়ী ক্ষুদ্র শিল্পে ফ্ল্যাট রেট (সবকিছু মিলে মোট মুল্য) ইউনিট প্রতি আট টাকা ২০ পয়সা, অফ-পিকে সাত টাকা ৩৮ পয়সা এবং পিক সময়ে (সবোর্চ্চ চাহিদার সময়) নয় টাকা ৮৪ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা মাসিক চার্জ ১৫ টাকা এবং ২৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ২৫ টাকা দিতে হবে। এর আগে ক্ষুদ্র শিল্প গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ছিল ৭ টাকা ৬৬ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ইউনিট প্রতি ৬ টাকা ৯০ পয়সা এবং পিক সময়ে প্রতি ইউনিট ৯ টাকা ২৪ পয়সা করে ছিল।

বিজ্ঞাপন

অনাবাসিক খাতে নির্মাণ খাতে ইউনিট প্রতি ১২ টাকা এবং মাসিক চার্জ ৮০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। শিক্ষা, ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালের ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি পাঁচ টাকা ৭৩ পয়সা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ৫ টাকা ২২ পয়সা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বেড়েছে ৫১ পয়সা।

রাস্তার বাতি, পানির পাম্প ও ব্যাটারি চার্জিং স্টেশনের ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে। আর মাসিক সার্ভিস র্চাজ নির্ধারন করা হয়েছে ৪০ টাকা।

বানিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ১০ টাকা ৩০ পয়সা, অফ-পিকে নয় টাকা ২৭ পয়সা, পিক সময়ে ১২ টাকা ৩৬ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক চার্জ রাখা হয়েছে ৩০ টাকা। এর আগে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ফ্ল্যাট মূল্য প্রতি ইউনিট ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা এবং পিক সময়ে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা। এই ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট রেটে ইউনিট প্রতি ৫০ পয়সা, অফ পিক সময়ে ৮২ পয়সা এবং পিক সময়ে ৩৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।  এছাড়া বাণিজ্যিক গ্রাহকের মধ্যে অস্থায়ী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি ১৬ টাকা এবং মাসিক চার্জ ১০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

এবার মুল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে মধ্যমচার, উচ্চচাপ ও অতিউচ্চচাপের সরবরাহ লাইনের ব্যবহারকারীদেও শ্রেণী বেড়েছে। মধ্যমচাপ ( ১১ কেভি লাইন ব্যবহারকারী) গ্রাহকদের মধ্যে আবাসিক খাতে ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ৮টাকা, অফপিক সময়ে ৭ টাকা ২০ পয়সা, পিক সময়ে ১০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।মাসিক সার্ভিস চার্জ রাখা হয়েছে ৫০ টাকা।

বাণিজ্যিক ও অফিস গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট রেট আট টাকা ৪০ পয়সা, অফপিক সময়ে ৭ টাকা ৩৪ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারন করা হয়েছে ৫০ টাকা।

এই শ্রেণীর শিল্প গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট রেট আট টাকা ১৫ পয়সা, অফপিক সময়ে ৭ টাকা ৩৪ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারন করা হয়েছে ৫০ টাকা।

নিমার্ণকাজের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট রেট ১১ টাকা, অফপিক সময়ে ৯ টাকা ৯০ পয়সা এবং পিক সময়ে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারন করা হয়েছে ৮০ টাকা। সাধারণ খাতে ফ্ল্যাট রেট আট টাকা ৫ পয়সা, অফপিক সময়ে ৭ টাকা ২৫ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ৬ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারন করা হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি ১৫ টাকা এবং মাসিক চার্জ একশ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

এর আগে ১১ কেভি লাইন ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ৭ টাকা ৫৭ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ৬ টাকা ৮৮ পয়সা, পিক সময়ে ৯ টাকা ৫৭ পয়সা হাওে বিল পরিশোধ করতো।

উচ্চচাপ বা ৩৩ কেভি লাইন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে সাধারন গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ৮ টাকা, অফ পিক সময়ে ৭ টাকা ২০ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস র্চাজ রাখা হয়েছে ৪০ টাকা। বাণিজ্যিক ও অফিস গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ৮ টাকা ৩০ পয়সা, অফ পিক সময়ে ৭ টাকা ৪৭ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ৩৮ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস র্চাজ রাখা হয়েছে ৪০ টাকা। শিল্প গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ৮ টাকা ৫ পয়সা, অফ পিক সময়ে ৭ টাকা ২৫ পয়সা এবং পিক সময়ে ১০ টাকা ৬ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস র্চাজ রাখা হয়েছে ৪০ টাকা। নির্মাণ গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ১০টাকা, অফ পিক সময়ে ৯ টাকা এবং পিক সময়ে ১২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। মাসিক সার্ভিস র্চাজ রাখা হয়েছে ৪০ টাকা। এর আগে উচ্চচাপ (৩৩ কেভি) ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ফ্ল্যাট রেটে ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৪৯ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ৬ টাকা ৮২ পয়সা এবং পিক সময়ে ৯ টাকা ৫২ পয়সা পরিশোধ করতে হতো।

অতি উচ্চচাপ বা ১৩২ কেভি এবং ২৩০ কেভি লাইন ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সাধারণ-১ (২০ মেগাওয়াট থেকে ১৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) এর ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৯৫ পয়সা, অফপিকে ৭ টাকা ১৬ পয়সা এবং পিক সময়ে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। সাধারণ-২ (১৪০ মেগাওযাটের বেশি) এর ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৯০ পয়সা, অফপিকে ৭ টাকা ১১ পয়সা এবং পিক সময়ে ৯ টাকা ৮৮পয়সা নির্ধারন করা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে মাসিক সার্ভিস চার্জ রাখা হয়েছে ৪০ টাকা।এর আগে অতি উচ্চচাপ গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাট রেট ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৩৫ পয়সা, অফ-পিক সময়ে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পিক সময়ে ৯ টাকা ৪৭ পয়সা কওে পরিশোধ করতে হত।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তখন গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এর আগে বিগত মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সময়কালে সাত দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ঐ সরকারের আমলে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের খুচরা দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারী দাম ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ানো হয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) গ্রাহকদের বিদ্যুতের মূল্য ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ায়। ২০১০ সালের মার্চে আরইবি ছাড়া অন্যান্য সংস্থার গ্রাহকদের গড়ে ৬ দশমিক ৩২ টাকা শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ ভাগ খুচরা দাম বাড়ায়। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে চতুর্থ দফায় ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ,  পঞ্চম দফায় ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ দশমিক ০১ শতাংশ  এবং ষষ্ঠ দফায় ২০১২ সালের ১ মার্চ ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ খুচরা দাম বাড়ানো হয়।

১৫৫৭ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন