বিজ্ঞাপন

বাড়ির পথে যাচ্ছে গাড়ি

August 17, 2018 | 2:50 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ২২ জুলাই কোরবানীর ঈদ, ২১, ২২, ২৩ জুলাই সরকারি ছুটি, তবে স্কুল কলেজ ছুটি হয়ে গেছে ১৬ তারিখেই। স্কুল ছুটির পরেই শুরু হয়েছে নাগরবাসীর ঢাকা ছাড়া। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকেই তাই শুরু হয়েছে বাড়ির পথে গাড়ি ধরার দৌড়।

নগরীর প্রায় সবগুলো বাস ও রেল স্টেশনে ছিল উল্লেখযোগ্য ভিড়। উত্তরবঙ্গের পথের গাড়িগুলো থামে কল্যাণপুরে। নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, গাইবান্ধা, নীলফামারী- সকাল হতেই এসব জেলার মানুষেরা এসে জড়ো হয়েছেন বাস কাউন্টারে। সঙ্গে বড় বড় বাক্স প্যাটরা। এই শহরের সব আনন্দ, সুখ ভরে নিয়েছেন তাতে বাড়িতে থাকা আপনজনের জন্য।

সবাই প্রায় জানেন কোথায় আছে কার গাড়ি, এমনকি যার যার বাজেট অনুযায়ী পছন্দের ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিও রয়েছে। তারপরেও পুরো এলাকা জুড়ে হেঁটে হেঁটে টিকেট ফেরি করে বেড়াচ্ছেন একদল লোক। জানা গেলো, তারা লোকাল বাসের স্পেশাল সার্ভিস। ঈদ উপলক্ষে দীর্ঘ যাত্রার ট্রিপ দিবেন তারা। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এসব বাসের টিকেট কাটছে অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

কথা হলো এমন একজন যাত্রী আবদুল জলিলের সঙ্গে। তিনি জানালেন দূর পাল্লার বাসগুলোর তুলনায় এগুলোর দাম তুলনামূলক কম। তাছাড়া আগে টিকেট কেনার ঝামেলা নেই ফলে এদের যাত্রীও নেহাত কম নয়। আবদুল জলিলের সঙ্গে কথার মাঝেই কথা বলে উঠেন লোকাল বাসের একজন টিকেট বিক্রেতা। তাচ্ছিল্য করে বলেন, ঈদ যত এগিয়ে আসবে ততই বাড়বে তাদের টিকেট বিক্রির হার, তখন যেন সাংবাদিকরা আসে তাদের নিয়ে রিপোর্ট করতে।

লোকাল বাসের বিক্রেতার কথার সূত্র ধরে কথা হয় হানিফ পরিবহণ ও গ্রামীন ট্রাভেলসের কাউন্টারে থাকা টিকেট বিক্রেতার সঙ্গে। তারা উভয়ই জানান ঈদের দিন পর্যন্ত তাদের প্রায় সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। অল্প যে কয়টা টিকেট আছে তা সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে মালিকপক্ষ ও প্রশাসনের সুপারিশে আসা মানুষদের জন্য। ফলে সাধারণ মানুষদের সহায় সেই লক্করঝক্কর লোকাল বাসের স্পেশাল সার্ভিস।

বিজ্ঞাপন

বাস স্ট্যান্ডকে ঘিরে বসেছে মানুষের মেলা। আছে পত্রিকার হকার, খেলার ফেরিওয়ালা এমনকি বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের জনসংযোগ করতেও এসে পড়েছে বাস স্ট্যান্ডে। ফ্রি স্যাম্পল, ভিন্ন ভিন্ন অফার নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের আকৃষ্ট করছে তাদের পণ্যের প্রতি। বসেছে খাবারের আর জুতা সেলাইয়ের দোকানও। এই ফাঁকে ব্যাগটা বা জুতার মেরামতের কাজটাও সেরে নিচ্ছেন অনেকে।

বেলা বাড়লেও দেখা মেলে না কোনো বাসে। প্রায় সবগুলো বাসই এখানে লেট। পরপর কয়েক বাসের যাত্রী জমে আর বসার জায়গা নেই অপেক্ষা কক্ষে। বাইরে রোদের মধ্যেও বসতে হয়েছে অনেককে। ছোট শিশুদের নিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করছে।

অবশেষে একটি বাস আসে। লোকাল বাস। সবাই অভিযোগ করে, বাস দেরিতে এসেছে, কেউ বলে বাস ছোট। তারপরেও বাসে উঠে পরে সবাই। বেলা যত বাড়বে বাড়ির পথে যাত্রা তত কঠিন হবে। সেই সমস্যা এড়াতেই গাড়িতে উঠে বসেন সবাই। এইবার তারা বাড়ি যাবেনই, তা গাড়িখানা যেমনই হোক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএ/জেএএম

আরও পড়ুন

ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় নেই, বাড়ি ফেরাদের মুখে হাসি

মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি ঘরমুখো মানুষের

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন