বিজ্ঞাপন

বিএনপি প্রার্থীর ভাইসহ ১৫ জনকে আটকের অভিযোগ, পুলিশের অস্বীকার

December 10, 2018 | 8:21 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মতবিনিময় সভায় আসা নিজ ভাইসহ ১৫ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরী। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট জলিলনগর টেক্সটাইল গেট এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি ইসহাক কাদের চৌধুরীর।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমার বাড়ির সীমানার মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছিলাম। সভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন ইউনিফর্ম এবং আরও কয়েকজন সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশ ঢুকে আমার ভাই নিজাম চৌধুরীসহ ১৫ জনকে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমি সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

আটক ১৫ জনের মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমও আছেন বলে তিনি জানান।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কারও বাড়িতে আমরা অভিযান চালাইনি। কোনো প্রার্থীর মিটিংয়ে অভিযানের খবরও আমার জানা নেই। আমি শহরে কনফারেন্সে আছি। আটকের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।’

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নুরে আলম মিনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোনো আটক-গ্রেফতারের ঘটনা নেই। অভিযোগ সত্য নয়।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম-২ (সীতাকুণ্ড-কাট্টলী) আসনের প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ভাই। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্র করার’ অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর থেকে আসলাম চৌধুরী কারাগারে আছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-কাট্টলী) আসন থেকে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তার ভাই ইসহাক কাদের চৌধুরী।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন