বিজ্ঞাপন

‘বিএন‌পি স্বাধীনতার ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত’

July 14, 2018 | 9:23 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা আমাদের কেউ সম্মান না করুন, অপমান করলে তা সহ্য করতে পারি না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।  মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কোনো কটাক্ষ সহ্য করা হবে না।

শনিবার (১৪ জুলাই)  গুলিস্তান নাট্যমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া ও বিএনপি স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা বারবার আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারই পথ ধরে গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কারের নামে একটি আন্দোলন হলো। ২০০৪ সালে এই আন্দোলন শুরু করেছিল ছাত্র শিবির। ধীরে ধীরে তারা এই আন্দোলনকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এ আন্দোলনে মদত দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।’

বিজ্ঞাপন

শাজাহান খান বলেন, ছাত্রবন্ধুদের ভুল বুঝিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করালো। তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দিলো। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করা হলো। এটা যদি সংস্কার আন্দোলন হয়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ কেন? এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, এটা কোনো সাধারণ ছাত্র আন্দোলন নয়।

এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপারধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া বন্ধ করা, জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতাবিরোধী যারা সরকারি চাকরিতে বহাল তাদের তালিকা করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা, যুদ্ধাপরাধীদের সব স্থাবর-আস্থাবর সম্পত্তি ও তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্নকারী, বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট বা জেনোসাইড ডিনায়েল ল’-এর আদলে আইন করে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিচেনা করা।

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে কর্মসূচিও ঘোষণা করেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। এই কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৯ জুলাই রয়েছে সিলেট অভিমুখে যাত্রা ও পথ সভা; ২২ জুলাই ঘোষিত ছয় দফার সমর্থনে দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন; ২৩ জুলাই ঢাকাসহ সব জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন পেশার নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়; ১ আগস্ট ঢাকার সব শ্রেণিপেশার সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সভা; ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন; ১৯ আগস্ট শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন এবং ২ সেপ্টেম্বর জেলা-উপজেলায় সমাবেশ এবং ডিসি ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়া।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম তাজসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন