বিজ্ঞাপন

বিচার কাজকে দীর্ঘায়িত করতেই একের পর এক আবেদন: কাজল

September 25, 2018 | 7:31 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচার কাজকে দীর্ঘায়িত করতেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে একের এক আবেদন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

তিনি আদালতকে বলেন, দূরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে তারা আদালতে আসেন। আদালতে এসে তারা ভিন্ন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। আইনজীবী হিসেবে আমি মনে করি, এটা দুঃখজনক।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এ এসব কথা বলেন দুদকের এই আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

এদিন শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আজ (মঙ্গলাবর) এই মামলার যুক্ততর্কের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা একের পর এক আবেদন দিয়ে বিচার কাজকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ মামলায় আসামিপক্ষের ‍যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করে একের পর এক আবেদন নিয়ে আসেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচার কাজে আদালতকে সহযোগিতা করছেন না। ভেতরে-বাইরের ষড়যন্ত্র এক হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আদালত মামলার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য নন। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যদি তারা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করেন, সে ক্ষেত্রে মামলার রায় ঘোষণা করার আবেদন জানিই আমি।

অন্যদিকে খালেদা ‍জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ তা আমি নিজে আদালতে গিয়ে বলে এসেছি। আদালতের অনুমতি নিয়ে আমরাও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেখেছি, তিনি খুব অসুস্থ। তিনি একা চলতে পারেন না। এক জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে থাকতে পারেন না। তিনি বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করব না। কেন করব না- তা আমরা বলেছি। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে যুক্তিতর্ক শুনতে চাচ্ছেন। এ কারণে তার অনুপস্থিতিতে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করব না। তাছাড়া বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য আপনি যে আদেশ দিয়েছেন, আমরা তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করব। ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মামলা মুলতবি রাখার আবেদন জানাই।

এরপর আদালত আরেক আসামি মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে আইনজীবী আক্তারুজ্জামানের বক্তব্য শোনেন। ২০ মিনিট বিরতি নিয়ে ফের আদালত তার কার্যক্রম শুরু করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত উষ্মা প্রকাশ করেন এবং আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে আসামি হারিছ চৌধুরী পলাতক। অন্য দুই আসামি হলেন জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম। গতকাল (সোমবার) জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল করে কারগারে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন