বিজ্ঞাপন

বিয়ের পাত্রী দেখা- কবে থামবে এই মধ্যযুগীয় রীতি?

July 17, 2018 | 2:04 pm

রাজনীন ফারজানা।।

বিজ্ঞাপন

‘কনে দেখা আলো’ অর্থাৎ সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তে অদ্ভুত সুন্দর যে আলো এসে ভরিয়ে তোলে পৃথিবী। সেই আলোতে নাকি চারপাশের সবকিছু সুন্দর লাগে। এক সময় আমাদের দেশের বাবা-মায়েরা ঘটকের পরামর্শে তাদের শ্যামলা মেয়েটিকে কুসুমরঙা শাড়ি পরিয়ে ‘কনে দেখা আলো’তে মেয়ে দেখাত, যাতে মেয়ের আসল গায়ের রঙ না বোঝা যায়। কনে দেখা আলোয় মেয়ে দেখানোর এই রীতি থেকে কী আমরা সরে আসতে পেরেছি?

আসিনি বলেই বোধহয় এখনও পাত্রপক্ষ আসার আগে মেয়েকে পার্লারে গিয়ে সেজেগুজে এসে পাত্রপক্ষের সামনে বসতে হয়। এখনও বিয়ের আগে পাত্রপক্ষ চালাকচতুর আত্মীয়কে নিয়ে পাত্রী দেখতে যান। তারপর পাত্রীকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করে ও তীক্ষ্ণ চোখে দেখে বিচার করা হয়- মেয়ের আসল গায়ের রঙ কী কিংবা স্বভাবে তাদের ছেলের ভবিষ্যৎ বধূ হওয়ার যোগ্য কি না। এখনও পাত্রী কতটা ঘরের কাজে পটু তা পরীক্ষা করতে বেগুন কাটার আগে পানিতে ভেজাতে হয় নাকি পরে-  এসব প্রশ্ন করা হয়।

বিয়ে দুজন মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলেও কে কাকে বিয়ে করবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অনেকসময় পাত্র কিংবা পাত্রীর হাতে থাকেইনা বলতে গেলে। কার সাথে কার বিয়ে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার, পরিচিতজন এবং আত্মীয়স্বজন। অনেকেই ভাবেন তারা তো শুধুমাত্র খোঁজ এনে দিচ্ছেন, মূল সিদ্ধান্ত তো পাত্র কিংবা পাত্রীই নেন। অথচ বাস্তব জীবনে অনেক সময়ই অভিভাবকদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয় ছেলে কিংবা মেয়ে।

বিজ্ঞাপন

এরেঞ্জড ম্যারেজের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হল পাত্রী দেখা যেখানে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও একজন নারীকে অপমানজনক পরিস্থতির সামনে পড়তে হয়। সমাজের সব শ্রেণি পেশার মাঝেই পাত্রী দেখার নামে পাত্রীকে অবমাননাকর প্রশ্ন এবং আচরণের মুখে ফেলার ঘটনা দেখা যায়।

উচ্চশিক্ষিত এবং ধনী পরিবারের মেয়ে ফারাহ। একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার সময় একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নেওয়া পাত্রের সাথে দেখা করতে গিয়ে এমন সব প্রশ্নের মুখোমুখি হন যা তিনি কখনো ভাবেননি। ফারাহকে জিজ্ঞাসা করা হয় প্রয়োজন হলে তিনি ডাস্টিং, ওয়াশিং, ক্লিনিংয়ের কাজগুলো করবেন কিনা। ফারাহ সরাসরি বলেন, প্রয়োজন হলে অবশ্যই করব তবে আপনাদের মনে হয় একজন ‘ওয়াইফ’ নয় ‘সারভেন্ট’ বেশি প্রয়োজন।

স্বভাবতই ফারাহ এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব পছন্দ না থাকায় বাবা-মায়ের চাপে একের পর এক পাত্রের সাথে দেখা করতে হয়েছে ফারাহকে। বিয়ে করার কোন পরিকল্পনা না থাকলেও পাত্রপক্ষের সামনে গিয়ে নানা সময়ে অপমানজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতে এখন তার কাছে ব্যাপারটাকে বাজারে গিয়ে বাজেটের মধ্যে দেখে শুনে ভালো জিনিস কেনার মত মনে হয়। প্রত্যেকবার পাত্রপক্ষের সামনে যাওয়ার আগে এবং পরে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাবা মা সেদিন তাকে সেজেগুজে মেকআপ করতে বাধ্য করেন। আর যেভাবে পাত্রপক্ষের লোকজন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তাকে দেখেন কিংবা নানারকম বিব্রতকর প্রশ্ন করেন সেই আতংকেই বিয়ের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে তার।

প্রথমবার পরিবারসহ দেখা করে পরে পাত্র একা দেখা করতে এসে আপত্তিকর আচরণের ঘটনাও ঘটেছে তার সাথে। এসব অভিজ্ঞতায় তার মনে হয় একটা মেয়ের জন্য বিয়ে মানেই যেন পরিবার ও সমাজের সম্মতিক্রমে কারও বাসায় গিয়ে তাদের রান্না করা আর সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হওয়া। পাত্রী দেখার সময় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অন্যান্য গুনাবলীর থেকেও তার গায়ের রঙ, উচ্চতা, গৃহস্থালী কাজে পারদর্শীতা এবং কেরিয়ার চয়েস প্রাধান্য পায়।

শুধু ফারাহই নয় এরেঞ্জড ম্যারেজ করতে রাজী হয়েছে এমন প্রায় সব মেয়েকেই পাত্রী দেখার নামে নানারকম সম্মানহানিকর ঘটনার সামনে পড়তে হয়। ঢাকায় হয়ত অনেকেই রেস্টুরেন্টে দেখার ব্যবস্থা করেন, কিন্তু ঢাকাসহ সারা দেশেই এখনও পাত্রপক্ষ বাড়িতে গিয়ে পাত্রী দেখেন। পাত্রপক্ষের জন্য মেয়ের বাড়ি থেকে তখন সাধ্যমত কিংবা সাধ্যাতীত আয়োজন করে আপ্যায়ন করতে হয়। আয়োজনের খুঁত যেন ধরতে না পারে সেটা তো আছেই, পাত্রীপক্ষের অভিভাবকদের মাঝেও বিগলিত নতজানু ভাব দেখা যায়। আজ থেকে দেড়শো থেকে দুইশো বছর আগের গল্প উপন্যাসে পাওয়া কণ্যাদায়গ্রস্ত বাবা মা এখনও যেন সমাজের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। যার প্রমাণ পাওয়া যাওয়া যায় পাত্রী দেখার আনুষ্ঠানিকতায় মেয়ের বাড়ির লোকেদের নিজেদের ছোট ভাবার মানসিকতার মধ্যে।

পাত্রী দেখানোর দিন মেয়ের বাড়িতে শুধুমাত্র ভালোমন্দ খাবারের আয়োজন হয় তাই নয়, মেয়েকে পার্লার থেকে ট্র্যাডিশনাল পোশাকে সেজে আসতে হয়। যে মেয়েটি হয়ত পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরে অভ্যস্ত তাকেও সেদিন শাড়ি পরতে বাধ্য করা হয়। সেদিন মেয়েটাকে তার জন্মসূত্রে পাওয়া চেহারা, গায়ের রঙ, কথা বলা কিংবা হাসির ধরণ, হাঁটাচলা সবকিছু নিয়ে অপরিচিত কিছু লোকের সামনে ‘জাজড’ হতে হয়।

বিজ্ঞাপন

ইতি (ছদ্মনাম) যখন অনার্সে পড়ে তখন থেকেই বাবা-মায়ের চাপে পাত্রপক্ষের সামনে গিয়ে বসতে হত। বিয়ের আগে অন্তত পনেরটা পরিবারের সামনে যেতে হয়েছে তাকে। এক একসময় এক একরকম অবমাননাকর পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়েছে। কখনও তাকে বলা হয়েছে হেঁটে দেখাতে, কখনও পরীক্ষা করা হয়েছে হাতপায়ের গড়ন। হাত পায়ের গড়ন দেখে নাকি মুরব্বীরা বলে দিতে পারেন সেই মেয়ে লক্ষ্মী নাকি অলক্ষ্মী। হাত দেখার ছলেই হাতের তালুর পেছনের অংশে ডলে ডলে দেখা হয় মেকআপ আছে নাকি নাই। আবার শাড়ি পড়ে বড় একটা ঘোমটা দিয়ে গেলেও ঘরভরা অপরিচিত মানুষের সামনে মাথার ঘোমটা খুলে দেখাতে হয়েছে চুল আর চেহারা। ঠিক ফারিয়ার মতোই ইতিরও ইচ্ছা করত না বিয়ের নামে নিজেকে অন্যের চোখে ‘বিচার’ হতে দেখতে। কিন্তু বাবা-মায়ের অনুরোধে বারবার যেতে হয়েছে। একসময় তারও মনে হয়েছে কেন নিজেই কাউকে পছন্দ করেনি!

ফারিয়া এবং ইতির মতই আদিবা সুলতানারও পাত্রপক্ষের সামনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ভালো নয়। একজন উচ্চপদস্থ বেসরকারি চাকরিজীবী তাকে দেখতে এসে একবার প্রশ্ন করে বসে ‘আপনার চাকরি করার দরকার কী? ঘরের কাজ কি কিছু পারেন? এখন থেকে তো আমার চাকরি করবেন’। বিয়ে ঠিকও হয়নি, রেস্টুরেন্টে প্রথম দেখাতেই সবার সামনে অবলীলায় ‘আমার চাকরি’ বলার মাধ্যমেই তিনি নিজের মানসিকতা বুঝিয়ে দেন। স্বভাবতই মাস্টার্স পাস করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা আদিবা এই পাত্রকে রিজেক্ট করেন। তবে বিয়ে ভাঙার আগে চাকরি করা না করা যে সম্পূর্ণ তার নিজের ইচ্ছায় হবে একথা জানিয়ে দিতে ভোলেননি।

ফারিয়া, ইতি এবং আদিবা তিনজনের ক্ষেত্রেই আগে সিভি দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে পাত্রপক্ষের যোগাযোগ শুরু হয়। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, অফিসের কলিগ থেকে শুরু করে ঘটকদের মাধ্যমে চেনাজানা ঘটে। কথা হল অনলাইন ম্যারেজ মিডিয়া বরবধূ ডট কমের মার্কেটিং ডিরেক্টর মাহফুজ খানের সাথে। তিনি বললেন তাদের  ওয়েবসাইটে পাত্রপাত্রীরা নিজেদের প্রোফাইল বানিয়ে সেখানেই প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দেন। তাই যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজটা তাদের করতে হয়না। পাত্র পাত্রীরা নিজেরাই, পেশা, দেশ, এলাকা ইত্যাদি দেখে নিজেরাই যোগাযোগ করেন।

কিন্তু স্থানীয় ঘটক রুমানার মা জানালো তার কাছে পাত্র-পাত্রীর পরিবার থেকে সিভি জমা দেয়। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেসব সিভি দেখিয়ে দুপক্ষের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন। তারপর রেস্টুরেন্টে বা মেয়ের বাড়িতে মেয়ে দেখার ব্যবস্থা করে দেন। প্রতিবার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি অন্তত পাঁচশো টাকা করে নেন। এর বাইরে খুশি হয়ে যে যা দেয়। বিয়ে হয়ে গেলে বিশ থেকে তিরিশ হাজার টাকা করে পান। মেয়ে পছন্দ করার ক্ষেত্রে পাত্রপক্ষ শিক্ষাগত যোগ্যতার গুরুত্ব দিলেও গায়ের রঙ, উচ্চতা, পারিবারিক অবস্থান এসব বেশি দেখেন বলে জানান তিনি। আর পাত্রের ক্ষেত্রে চেহারা কিংবা অন্যান্য গুণাবলীর চাইতেও তার অর্থনৈতিক অবস্থান বেশি গুরুত্ব পায় বলে জানান তিনি। টাকা পয়সা এবং সামাজিক অবস্থান ভালো এমন ছেলে পাওয়া গেলে বাবা-মা অনেকসময় মেয়ের মতামতের বাইরে গিয়েও মেয়ের বিয়ে দেন বলে জানান ঘটক রুমানার মা।

শিক্ষিত সমাজের অনেক পাত্রই এখন আর বাসায় গিয়ে পাত্রী দেখতে চান না। মধুমতি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম শাহীন ইকবাল পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করলেও বাড়ি গিয়ে পাত্রী দেখেন নি। তার কাছে মনে হত পাত্রী দেখে রিজেক্ট করলে তার কেমন লাগবে। তাই কোন মেয়ের রেফারেন্স আসলে আগে তার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে ভালোমত খোঁজ নিয়ে দেখেছেন। নিজে কাউকে পছন্দ করেন নি দেখেই ভবিষ্যৎ সঙ্গীর ব্যাপারে পরিবারের উপরেই ভরসা করেছিলেন তিনি। এম্নিতে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিজেই পাত্রীর সাথে কথা বলে তার সাথে মানসিকতা মেলে কিনা তা দেখেছেন বলে জানালেন শাহীন ইকবাল।

পাত্রী দেখার সময় পাত্রীকে ঘরের কাজ জানে কিনা, রান্না করতে পারে কিনা, কেরিয়ার চয়েস নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও একই ধরণের প্রশ্ন পাত্রকেও করা হয় কিনা সে নিয়ে কথা হল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা মারুফুল ইসলামের সাথে। তিনি জানালেন, পাত্রীর পক্ষ থেকে তাদের বাসার দারোয়ানের কাছে তার ব্যপারে খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া তার কলিগের কাছে তিনি কত বেতন পান তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই দুটো ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট অপমানবোধ করেছিলেন। কিন্তু তাকে তার চেহারা, গায়ের রঙ কিংবা কেরিয়ার চয়েস সংক্রান্ত কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়নি।

দেখা যাচ্ছে, বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের সংসার সামলানোর দক্ষতা ও বাহ্যিক সৌন্দর্য যতটা গুরুত্ব পায়, একজন বিবাহেচ্ছুক পাত্রকে সেসবের মুখোমুখি হতে হয়না বললেই চলে। যেহেতু আমাদের দেশের অনেক ছেলেমেয়ের বিয়েই মধ্যযুগীয় কায়দায় তাদের অভিভাবক ঠিক করেন তাই পাত্রী দেখার ঘটনা এখনও বিদ্যমান। এর সংকটটা আসলে বহুমুখী। নারী সমাজ এখনও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে বলেই তাদের পাত্রীদেখার মত অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে, অনে পরিবারে পাত্রী দেখতে এসে পাত্রীর হাতে কিছু টাকা গুঁজে দেবার চল আছে। যুগ যুগ ধরে এদেশের বিয়ে সম্পর্কিত কর্মকান্ডে মেয়েদের জন্য এ রকম অবমাননাকর ব্যবস্থা চালু আছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে যেভাবে বিয়ে হয় সেটার জন্যই পাত্রী দেখার সিস্টেম এখনও চালু আছে।

মানস চৌধুরী ব্যাপারটাকে অগণতান্ত্রিক বলে মনে করেন। কারণ এখানে পাত্রীর বলার কিছু থাকেই না বলতে গেলে। পাত্রী পরিস্থিতির শিকার হয়ে মুখ বুজে সহ্য করতে বাধ্য হন।

মানস আরও বলেন, আদতে বিয়ে করে দুজন মানুষ নতুন একটা পরিবার শুরু করলেও বিয়ের আগে দুই পরিবারের পছন্দ অপছন্দ, বংশ, অর্থনৈতিক অবস্থানের পাল্লাপাল্লি ইত্যাদি সামনে চলে আসে পাত্রী দেখার সময়। এর কারণ হিসেবে নারীর বন্দীদশার পাশাপাশি পারিবারিক ধ্যানধারণার অসামঞ্জস্যও দায়ী বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, অনেক অভিভাবকই নিজেদের উচ্চবংশীয় প্রমাণ করতে তাদের মেয়ের কোন পছন্দ নাই বলে গর্ব করে প্রচার করলেও, অপরিচিত পাত্রপক্ষের সামনে ঠিকই মেয়েকে উপস্থাপন করেন।

পাত্রী দেখার নামে এরকম অবমাননাকর পরিস্থিতি সমাজ থেকে দূর করতে মেয়ে এবং তার পরিবারের সচেতনতার বিকল্প নাই বলে জানান অধ্যাপক মানস। বিশেষত যে পরিবারে বড় কিংবা ছোট ভাই আছে তারাই এগিয়ে আসতে পারেন পাত্রী দেখার এসব আয়োজন রুখতে। তবে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে মেয়েটিকেই, আত্মসম্মান আর আমর্যাদা ধরে রেখে তাকেই জোর গলায় প্রতিবাদ জানাতে হবে সবার আগে।

 

 

অলঙ্করণ- আবু হাসান

সারাবাংলা/আরএফ/এসএস 

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন