July 18, 2018 | 7:50 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ভাসাভি ফ্যাশন লিমিটেড ও তাহমিনা ডেনিম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াসির আহমেদ খান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামাল জামান মোল্লার জামিনের শর্ত অনুযায়ী আত্মসাতের টাকার কিস্তি শোধ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ হলফনামা আকারে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের তা জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুলাই) বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় এ দুই আসামির জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের এক আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এ দুই আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এ মামলায় দুদকের আইনজীবী ছিলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গ্রেফতারের পর আত্মসাৎ করা টাকা কিস্তিতে পরিশোধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ইয়াসির ও কামাল।
রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে ২ বছরের মধ্যে সমান হারে ৪০টি কিস্তিতে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত।
সে হিসেবে প্রথম কিস্তিতে ৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫০৪ টাকা পরিশোধ ও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তারা জামিন চাইলে গত বছরের ১১ জানুয়ারিতে মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তাদের জামিন দেন।
আইনজীবী মানিক বলেন, গ্রেপ্তারের এক মাসের মধ্যে জামিন হওয়ায় দুদক জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারী রিভিশন আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানিতেই বুধবার হাইকোর্ট জানতে চায় জামিনপ্রাপ্ত ভাসাভি ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি কিস্তি পরিশোধ করছে কিনা।
দুই বছরের সময়সীমার মধ্যে এখন পর্যন্ত কত টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বা কয়টা কিস্তি পারিশোধ হয়েছ আদালত জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী এর জবাব দিতে না পারায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ হলফনামা আকারে তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন।
ভাসাভি ফ্যাশন লিমিটেডেরে চেয়ারম্যান ইয়াসির আহমেদ খান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামাল জামান মোল্লা, বেসিক ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক শিফার আহমেদ, উপব্যবস্থাপক এস এম জাহিদ হাসান (চাকরিচ্যুত) ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মঞ্জুর মোরশেদসহ ছয় জনকে আসামি করা হয় এ মামলায়
মামলার এজহারে বলা হয়, আসামি ইয়াসির আহমেদ খান ও কামাল জামান মোল্লা গুলশানের বেসিক ব্যাংক লমিটেডের শাখা থেকে ভুয়া জামানত দিয়ে এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ৪৯ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও আসামিদের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে একই দিনে আরও দুটি মামলা হয়।
ঋণ আত্মসাতের এসব মামলায় ২০১৬ সলের ৮ ডিসেম্বর শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল।
সারাবাংলা/এজেডকে/ জেডএফ