বিজ্ঞাপন

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাজপথে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

July 15, 2018 | 2:45 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ওজন স্কেল বসানোর কারণে এখানকার ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছেন। আমদানি পণ্যের মান যাচাই সনদ এখন চট্টগ্রামের বদলে নিতে হচ্ছে ঢাকা থেকে। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে পরিবহন করতে কন্টেইনারে লাগানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক তালা। এ অবস্থায় ব্যবসার প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়ছেন চট্টগ্রামের, পণ্য পরিবহনে গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।’

বিজ্ঞাপন

এসব অভিযোগে হাজারেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে রোববার দুই ঘন্টার জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন বন্দরনগরীর ব্যবসায়ীরা। এ সময় তারা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সামনে এসেও বিক্ষোভ করেন এবং মেয়রকে স্মারকলিপি দেন। পরে মেয়রও ব্যবসায়ীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানান।

রোববার (১৫ জুলাই) সকালে দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী, শ্রমিক-কর্মচারিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে যোগ দেন মানববন্ধনে। একইভাবে নগরীর পাহাড়তলী, আছাদগঞ্জ, মাঝিরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি দোকান, আড়ত, আমদানিকারকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবসায়ী নেতারা স্বত:স্ফুর্তভাবে পালন করেছেন কর্মসূচি।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, দেশের অন্যান্য মহাসড়কে ২০ টন পণ্য পরিবহন করা গেলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সেটা কমিয়ে ১৩ টন করা হয়েছে। কিন্তু পরিবহনের ভাড়া কমেনি। ২০ টনের যে ভাড়া, ১৩ টনের জন্যও একই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। পণ্যও যাচ্ছে কম। এই অবস্থায় আমরা তো অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে গেছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মান নিয়ন্ত্রণে ওজন স্কেল বাস্তবায়ন করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এর ফলে নির্ধারিত ওজনেরবেশি পণ্য নিয়ে চলাচলকারী গাড়িকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে গিয়ে তা পণ্যের দামের সাথে যুক্ত হচ্ছে।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আড়তদাররা অভিযোগ করেন, সড়কপথে ওজন স্কেল বসিয়ে কড়াকড়ি করায় ঢাকার ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভেড়াচ্ছেন না। তারা বর্হিনোঙ্গর থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে পণ্য খালাস করে নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে চট্টগ্রাম বন্দরও পিছিয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিষয়টি নিয়ে আমি সরকারের উচ্চমহলে আলোচনা করব।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ সিমেন্ট আয়রন অ্যান্ড স্টিল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম ডাল মিল ব্যবসায়ী সমিতি, রাইচমিল মালিক সমিতি, নবী সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, ইলিয়াস মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, খাতুনগঞ্জ চিনি ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতি, চট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসায়ী গ্রুপ, বৃহত্তর চাক্তাই খাতুনগঞ্জ শ্রমিক সমিতিসহ অন্তত ২০টি সংগঠন।

সারাবাংলা/আরডি/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন