April 25, 2018 | 9:09 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। একইসঙ্গে দুই দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবেই মিল রয়েছে। তাই দুই দেশের ভাষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে হবে।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এফবিসিসিআই-এর সঙ্গে ভারতের বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে দুদেশের ব্যবসায়ীরা এই মতামত জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
অন্যদিকে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি চন্দ্র শেখর ঘোষ ভারতের ১৮ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন।
এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন।
এ সময় এফবিসিসিআই পরিচালকবৃন্দ ও সংগঠনের সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি দলের প্রধান চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যাংকিং খাতে যৌথভাবে কাজ করাতে আগ্রহী ভারতীয় উদ্যোক্তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ মধ্যে রেলপথ, সড়কপথ, নৌ ও বিমান চলাচল ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমরা দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত করতে পারি। এ ছাড়াও বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়েও অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রয়েছে।
চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, সমগ্র ভারতে প্রতি ১০ বছর পরপর দুটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর ৭৬ বছর পর সম্প্রতি ভারতে পশ্চিমবঙ্গে ‘বন্ধন ব্যাংক লিমিটেড’ নামে একটি নতুন ব্যাংক চালু করা হয়েছে।
তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যকার পরিবেশ, সংস্কৃতি ও খাবার ইত্যাদির সামঞ্জস্যের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির বাণিজ্য উদ্যোক্তারা চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যাংকিং খাতে যৌথভাবে কাজ করে উপকৃত হতে পারে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে এখন বিশ্ব স্বীকৃত। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে অভিযাত্রার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই অবস্থায় বৃহৎ বাজারের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার হতে পারে। তিনি বলেন, দেশ দুটিতে বিদ্যমান বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্ভাবনাগুলো খুঁজে দেখা দরকার।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে প্রযুক্তি এবং জ্ঞান বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৭২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি করে এবং ভারত থেকে ৬ হাজার ১৬২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, প্রকৌশল সমগ্রী এবং নীট ওয়্যার।
এ ছাড়া ভারত থেকে মূলত টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল সামগ্রী, সবজি, মেশিনারী এবং ইলেক্ট্রিক সামগ্রী এবং রাসায়নিক সামগ্রী আমদানি করা হয়।
সারাবাংলা/জিএস/এমআই