বিজ্ঞাপন

ব্যর্থতা ছাপিয়ে আলোর উঁকি আর্চারিতে

August 26, 2018 | 9:30 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ায় চলমান এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে ১৪টি ডিসিপ্লিনে। আর্চারি ছাড়া বাকী সবগুলো ইভেন্টেই ব্যর্থতার চাদরে ঢাকা লাল-সবুজ জার্সিধারী ক্রীড়াবিদরা। এসএ গেমস-কমনওয়েলথে ‘নিয়মিত’ পদক পাওয়া বাংলাদেশ পার্থক্য বুঝলো এশিয়ান গেমসে এসে। সেই ফারাকেও আলোর আভাস পেয়েছে আর্চারি।

বিজ্ঞাপন

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম আসর এশিয়ান গেমস। বড় ইভেন্টে প্রস্তুতিটাও সেরকম থাকা দরকার হয়। ব্যর্থতা সবগুলো ডিসিপ্লিনেই।

ব্যতিক্রম বলতে পারেন আর্চারিতে। এ ডিসিপ্লিনের ৮টি ইভেন্টে (রিকার্ভ ইভেন্টে ৫টি যথাক্রমে পুরুষ একক, নারী একক, পুরুষ দলগত, নারী দলগত ও মিশ্র দলগত এবং কম্পাউন্ড ইভেন্টে ৩টি যথাক্রমে পুরুষ দলগত, নারী দলগত, মিশ্র দলগত) ২৯টি দেশ থেকে ২৫৭ জন পুরুষ ও নারী আরচার অংশগ্রহণ করে। ২১ আগস্ট-২০১৮ তারিখে রিকার্ভ ডিভিশনে ৪ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী এবং কম্পাউন্ড ডিভিশনে ৩ জন পুরুষ ও ৩ জন নারীসহ বাংলাদেশ থেকে ১৩ জন (৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী) আরচার বাছাইপর্বে অংশ নেয়।

রিকার্ভ পুরুষ এককে ৭৯ জন আরচারের মধ্যে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার ১ম স্থান অর্জনকারী ৬৮৩ স্কোর ও ২য় স্থান অর্জনকারী ৬৭৯ স্কোর এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের মো: রুমান সানা ৬৭৭ স্কোর করেন। এছাড়া মো: ইব্রাহিম শেখ রেজোয়ান ৬৪৩ স্কোর করে ২৩তম স্থান, মো: ইমদাদুল হক মিলন ৬৪১ ও মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম ৬৩৫ স্কোর করেন। রিকার্ভ কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দেশের সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী ০২ জন করে আরচ্যার ইলিমিনেশন রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। মো: রুমান সানা ১/৩২ খেলায় বাই পেয়ে ১/১৬ খেলায় উন্নিত হয় এবং মো: ইব্রাহিম শেখ রেজওয়ান ১/৩২ খেলায় লাওসের ‘অনমানি সৌলিভং’ কে ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে পরাজিত করে ১/১৬ খেলায় উন্নীত হয়। ১/১৬ খেলায় মো: রুমান সানা থাইল্যান্ডের ‘থামউং উইথ্যায়া’ কে ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে পরাজিত করে ১/৮ খেলায় উন্নীত হয় এবং মো: ইব্যাহিম শেখ রেজওয়ান চায়নার ‘লি জিয়ালুন’এর নিকট ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে পরাজিত হয়। ১/৮ খেলায় মো: রুমান সানা ইন্দোনেশিয়ার ‘আগাথা রিয়াউ ইগা’ এর নিকট ৬-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে পরাজিত হয়।

বিজ্ঞাপন

রিকার্ভ নারী এককে ৬৬ জন আরচারের মধ্যে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার ১ম স্থান অর্জনকারী ৬৮১ স্কোর এবং বাংলাদেশের নাসরিন আক্তার ৬১০ স্কোর করে ২৭তম স্থান, ইতি খাতুন ৫৯৩ স্কোর করে ৩২তম স্থান ও বিউটি রায় ৫৮৩ স্কোর করেন। ১/৩২ খেলায় নাসরিন আক্তার তাজিকিস্তানের ‘তাগায়েভা জুখরো’ এর নিকট ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে এবং মোসাম্মৎ ইতি খাতুন ফিলিপাইনের ‘তাগলে নিকোল মেরি’ এর নিকট ৬-৫ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে পরাজিত হয়।

রিকার্ভ পুরুষ দলগতভাবে ১/১২ খেলায় বাই পেয়ে ১/৮ খেলায় উন্নীত হয়। ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ দল (মো: রুমান সানা, মো: ইব্রাহিম শেখ রেজওয়ান ও মো: ইমদাদুল হক মিলন) ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে মঙ্গোলিয়ার এর নিকট পরাজিত হয়। ১৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের রিকার্ভ পুরুষ দল ৯ম স্থান অর্জন করে।

রিকার্ভ নারী দলগতভাবে ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ দল (নাসরিন আক্তার, মোসাম্মৎ ইতি খাতুন ও বিউটি রায়) ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে জাপানের নিকট পরাজিত হয়। ১৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের রিকার্ভ নারী দল ৯ম স্থান অর্জন করে।

বিজ্ঞাপন

রিকার্ভ মিশ্র দলগতভাবে ১/১২ খেলায় বাংলাদেশ দল (মো: রুমান সানা ও নাসরিন আক্তার) ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ‘ইউএই’ কে পরাজিত করে ১/৮ খেলায় উন্নীত হয়। ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ দল ৫-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ‘কাজাখস্তান’কে পরাজিত করে ১/৪ (কোয়ার্টার ফাইনাল) খেলায় উন্নীত হয়। ১/৪ (কোয়ার্টার ফাইনাল) খেলায় বাংলাদেশ দল ৫-১ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে জাপানের নিকট পরাজিত হয়। ২৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের রিকার্ভ মিশ্র দল ৭ম স্থান অর্জন করে।

কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে কম্পাউন্ড পুরুষ এককে ৬০ জন আরচারের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ১ম স্থান অর্জনকারী ৭০৯ স্কোর এবং বাংলাদেশের অসীম কুমার দাস ৬৯২ স্কোর করে ১৭তম স্থান, মো: আবুল কাশেম মামুন ৬৭৬ স্কোর করে ৪৩তম ও মো: জাবেদ আলম ৬৭৩ স্কোর ৪৯তম স্থান অর্জন করেন। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে কম্পাউন্ড নারী এককে ৫২ জন আরচারের মধ্যে চাইনিজ তাইপের ১ম স্থান অর্জনকারী ৭০৬ স্কোর এবং বাংলাদেশের রোকসানা আক্তার ৬৭২ স্কোর করে ৩৫তম স্থান, বন্যা আক্তার ৬৭১ স্কোর করে ৩৭তম ও সুমা বিশ্বাস ৬৫৪ স্কোর ৪৭তম স্থান অর্জন করেন।

কম্পাউন্ড পুরুষ দলগতভাবে ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ দল (অসীম কুমার দাস, মো: আবুল কাশেম মামুন ও মো: জাবেদ আলম) ইন্দোনেশিয়ার নিকট ২৩০-২২৮ স্কোরের ব্যবধানে পরাজিত হয়। ১৬ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কম্পাউন্ড পুরুষ দল ৯ম স্থান অর্জন করে।

বিজ্ঞাপন

কম্পাউন্ড নারী দলগতভাবে ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ দল (রোকসানা আক্তার, বন্যা আক্তার ও সুমা বিশ্বাস) ইন্দোনেশিয়ার নিকট ২২২-২০৮ স্কোরের ব্যবধানে পরাজিত হয়। ১৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কম্পাউন্ড নারী দল ৯ম স্থান অর্জন করে।

কম্পাউন্ড মিশ্র দলগতভাবে ১/১২ খেলায় বাংলাদেশ দল (অসীম কুমার দাস ও রোকসানা আক্তার) বাই পেয়ে ১/৮ খেলায় উন্নীত হয়। ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ দল ১৫৪-১৪৯ স্কোরের ব্যবধানে ফিলিপাইনের নিকট পরাজিত হয়। ১৭ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কম্পাউন্ড মিশ্র দল ৯ম স্থান অর্জন করে।

ব্যর্থতার গল্পেও চমকের কাহিনী রচনা করে গেছেন আর্চাররা। স্বপ্ন দেখিয়েছেন ভবিষ্যতের। সেই ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে সবার।

সারাবাংলা/জেএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন