বিজ্ঞাপন

ব্লু-ইকোনমি অগ্রাধিকার পেয়েছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে

December 18, 2018 | 12:04 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে ব্লু-ইকোনমি। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে সমুদ্রসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী মেয়াদে এই পরিকল্পনা অন্যতম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২১টি বিশেষ অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ ঘোষণা করেছে।

আ.লীগের ইশতেহার : আমার গ্রাম হবে আমার শহর

বিজ্ঞাপন

ইশতেহারে ব-দ্বীপ পরিকল্পনার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে। জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে কাঙ্খিত উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ শতবর্ষের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডেসের ডেল্টা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে পন্থা অনুসরণ করে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের যৌথ সহায়তায় ২০১৮ সালে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

এটি মূলত পরিবেশের সাথে অভিযোজনভিত্তিক কারিগরি এবং অর্থনৈতিক মহাপরিকল্পনা, যা উন্নয়ন ফলাফলের ওপর পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ভূমি ব্যবহার, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং এদের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে বিবেচনা করে প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা নীতিতে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ঝুঁকির মধ্যে উচ্চতর ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং ব-দ্বীপ সম্পর্কিত অন্যান্য অভিযোজন তথা পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই পরিকল্পনাটি ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জন করতে সহায়ক হবে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সাল নাগাদ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাসমূহে সমন্বয়ের যোগসূত্র সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকরিতে মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনার অঙ্গীকার আ.লীগের

ব্লু-ইকোনমি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ইশতেহারে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের বহুমাত্রিক বিশাল সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় রেখে সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। মিয়ানমার ও ভারতের সাতে অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা ছিল সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্যের সুবর্ণ ফসল মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি। ফলে মিয়ানমারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিকেল মাইলের মধ্যে সমুদয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তার বাইরে মহাদেশীয় বেষ্টনী এবং একইভাবে ভারতের সঙ্গে ৩৫৪ নটিকেল মাইল পর্যন্ত মহাদেশীয় বেষ্টনীর মধ্যে সকল প্রকার সম্পদের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সর্বমোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল লাভ করেছে। যা মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৮০দশমিক ৫১ শতাংশ।

সমুদ্রসম্পদ যা ব্লু-ইকোনমি নামে অভিহিত। বাংলাদেশের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। সমুদ্রবন্দর, জাহাজ নির্মাণ, নৌ-চলাচল, সাগরে মৎস্য চাষ, জলজ উদ্ভিদ, তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ আহরণ, সমুদ্রে ভেসে ওঠা নতুন চর/দ্বীপ, সামুদ্রিক পর্যটন শিল্প ইত্যাদি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনামর দ্বার খুলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্রসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী মেয়াদে এই পরিকল্পনা অন্যতম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত করা হবে।

সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন