বিজ্ঞাপন

ভাংবাড়িয়ায় সেতু না থাকায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

March 19, 2019 | 4:47 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট 

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ফেরিঘাটে নেই সেতু। দীর্ঘ ৭৮ বছর ধরে এ কারণে এলাকাবাসী নানা দুর্ভোগে পড়ছেন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কৃষি বাণিজ্য। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা সেবা পেতেও সমস্যায় পড়ছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন পরিষদ ভাংবাড়িয়া। এর পাশেই মাথাভাঙ্গা নদী। এই নদী পার হতে ভাংবাড়িয়া, চিৎলা, গাংনী, মালিহাদ, হারদী, কুমারী ও বারাদীসহ মেহেরপুর জেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখ মানুষকে প্রতিদিন নানা কাজে ফেরিঘাটে যেতে হয়।

ভাংগাবাড়িয়া

বর্ষাকালে নদীতে পানি বেশি থাকায় পারাপারে জনগণের নানা দুর্ভোগ বাড়ে আরও। কৃষিনির্ভর এলাকার কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা শহর আলমডাঙ্গায় যেতে সমস্যায় পড়েন। সেই সঙ্গে এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যেতে হয় হারদী ও আলমডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া কলেজে। চিকিৎসা নিতেও হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে নদী বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় ঘাটে পারাপারের কেউ না থাকলে বা কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় সংকটে।

বিজ্ঞাপন

ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ জানান, ভাংবাড়িয়া পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এখানে বড় বড় সাপ্তাহিক হাট বসে। এখানে রয়েছে স্কুল ও মাদরাসা। তাছাড়া এই ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এলাকার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫০টি গ্রামের প্রায় ৪ লাখ মানুষ ভাংবাড়িয়া ঘাট ব্যবহার করে আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং ঢাকায় যাওয়া-আসা করেন। শুধুমাত্র একটি সেতুর অভাবে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেতু হলেই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে।

চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসানুল হক জানান, ভাংবাড়িয়া ইউপি অফিস থেকে উদয়পুর হাট-বাঁশবাড়িয়া সড়কে ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৪ মিটার সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে সেতু নির্মাণ শুরু হবে।

সারাবাংলা/এমও/আরএফ 

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন