বিজ্ঞাপন

ভাই হত্যার বিচার চাইতে সংসদে যেতে চান দিয়াজের বোন

January 19, 2019 | 3:12 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুই বছর আগে নিজ বাসায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে নির্মম মৃত্যুর ঘটনা’ সারাদেশে তোলপাড় তুলেছিল। ‘খুনের’ সঙ্গে প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থাকা নিজ সংগঠনেরই নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ পায়। ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে নেওয়া হয় নানা ধরনের কৌশল। বিচারের দাবিতে পরিবার পাশে পায়নি দিয়াজের সতীর্থদের। সন্তানহারা মায়ের আর্তি বারবার গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

প্রভাবশালীদের ‘রক্তচক্ষু’ উপেক্ষা করে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে রাজপথে এবং আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দিয়াজের বোন জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নীপা। কিন্তু এই লড়াইয়ে পেরে উঠছেন না নীপা। তাই ভাই হত্যার বিচার চাইতে এবার সংসদে যেতে যান চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ও আদালত অঙ্গনের পরিচিত মুখ নীপা।

শুক্রবার জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নীপা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে ফরম জমা দেন। এই ফরমে নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশপাশি দিয়াজ হত্যার প্রসঙ্গও এনেছেন বলে জানিয়েছেন নীপা।

বিজ্ঞাপন

নীপা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে কারা মেরেছে, সবাই জানে। এই খুনিরা কাদের আশ্রয়-প্রশয় পাচ্ছে সেটাও সবাই জানে। আমার ভাই সুস্থ রাজনীতির জন্য লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছে। ভাই হত্যার বিচারের জন্য আমার পরিবার লড়াই করে যাচ্ছে। খুনিদের প্রশ্রয়দাতারা বারবার আমাকে থামানোর চেষ্টা করছে। ভাইয়ের খুনের বিচারের দাবি আমি সংসদে তুলতে চাই।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তরের পর জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নীপা চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় জড়িত আছেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদেও ছিলেন নীপা।

নীপার ছোট ভাই দিয়াজ ইরফান চৌধুরীও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় নিজ কক্ষ থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, আত্মহত্যা নয় দিয়াজকে খুন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পর ২৪ নভেম্বর জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান, ছাত্রলীগ কর্মী আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আব্দুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

ওই মামলায় একমাত্র আনোয়ার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেলে যান। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

মামলার আসামি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন