বিজ্ঞাপন

ভাতিজাকে ফালুর অবৈধ সম্পদ হস্তান্তর, দুদকের অনুসন্ধান

September 11, 2018 | 8:28 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু বিদেশে বসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় তার সব সম্পদ আম মোক্তারানামার মাধ্যমে পরিবারকে হস্তান্তরের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখাও চয়েছে দুদক।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুদকের ওই সূত্র সারাবাংলাকে জানায়, ফালু তার সম্পত্তি ভাতিজাদের নামে অবৈধ উপায়ে হস্তান্তরের চেষ্টা করে। বিষয়টি দুদক অবহিত হয়। দুদকের গোয়েন্দারা ওই তথ্য ও কাজগপত্র হাতে পেয়েছে, যেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দুদক ব্যাখ্যা চেয়েছে। আর ওইসব কর্মকর্তাকে দুদকে তলব করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্র।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, দুবাইয়ে অবস্থানরত মোসাদ্দেক আলী ফালু পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে তার সব সম্পত্তি দুই ভাতিজার নামে হস্তান্তরের চেষ্টা করেন। দুদক বলছে, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, তা যথাযথ নয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুদকে তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় তিনি এভাবে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না।

যে দুই ভাতিজার নামে ফালুর অবৈধ হস্তান্তরের চেষ্টা করা হয় তারা হলেন— রোজা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈম উদ্দিন আহম্মেদ ও একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আশফাক উদ্দিন। তবে কত টাকা হস্তান্তরের চেষ্টা করা হয়েছিল, তা জানায়নি দুদক। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই অবৈধ সম্পত্তির পরিমাণ দুই থেকে তিনশ কোটি টাকা হতে পারে।

এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ফালুর দুই ভাতিজা নাঈম উদ্দিন আহম্মেদ ও আশফাক উদ্দিনকে অন্য একটি অভিযোগে তলব করা হয়েছে। ফালুর ভাতিজা নাঈম উদ্দিন আহমেদের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। নাঈম দেশের বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন— এমন তথ্য পাওয়ার পর দুদক এ পদক্ষেপ নেয়। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ফালুসহ তাদের বিরুদ্ধে ৮০ লাখ ডলার অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন