বিজ্ঞাপন

ভারত পেরেছে, বাংলাদেশ কবে?

April 15, 2018 | 9:23 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ ভারতে প্রথমবারের মতো নারীদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগ হয়ে গেলো। সেই লিগে বিদেশি কোটায় বাংলাদেশের দু’জন খেলে এসেছেন। দাপিয়ে এসেছেন। ভারতে তৃণমূল থেকে সিনিয়র নারীদের ফুটবলে উন্নতি আনতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফসল এই নারী লিগ।

যার সফলও পেতে শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। নতুন উদীয়মান খেলোয়াড় বের হয়ে আসছে। খেলোয়াড়দের পরিণত হওয়ার জায়গাও তৈরি হচ্ছে এই লিগের মাধ্যমে। খেলার উপরে থাকলে মানসিকতা ও পূর্ণ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করে এই লিগ।

ভারত থেকে সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রাণী এভাবেই বলছিলেন। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সময় জানালেন, দেশের এমন লিগ হলে বেশি ভালো হতো।

বিজ্ঞাপন

দেশের মেয়েদের বয়সভিত্তিক দুই দলের উপরেই জোর বেশি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। ক্যাম্পে সারাবছর রেখে অনুশীলন করিয়ে যাচ্ছে বাফুফে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী খেলোয়াড় সংকটে ভুগতে পারে দেশের ফুটবল।

প্রতিবেশি দেশ নারীদের নিয়ে সেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় সফলতা পাচ্ছেন দুই হাত ভরে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ঢুকে যাচ্ছে ৫০ এর মধ্যে। অন্যদিকে বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু দিনের পর দিন কোনও লিগ হচ্ছে না মেয়েদের।

সাবিনার দুঃখটা সেখানেই, ‘আমাদেরও লিগটা হওয়া দরকার। কারণ লিগ খেললে খেলোয়াড়রাও খেলার প্রতি অনেক আগ্রহী হবে। খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মানসিকতা বাড়বে।’

বিজ্ঞাপন

বিদেশের মাটিতে প্রথমবার খেলতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী মনে করেন, ‘যতো বেশি খেলা হবে ততোই আমাদের জন্য মঙ্গল। বেশি বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতপূর্ণ ম্যাচের বিকল্প নেই।’

এবারের ভারতীয় নারী লিগে সাবিনা ৭ ম্যাচ খেললেও কৃষ্ণা নামতে পেরেছিলেন ৩ ম্যাচে। তাও সাবিনার বদলি হিসেবে। কারণ লিগের নিয়ম অনুযায়ী একজন বিদেশি খেলোয়াড়ই মাঠে থাকতে পারেন।

দেশে ফিরেই একদিনের মাথায় অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন দু’জন। মে মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি নারী ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়ে ফুটসালে অভিষেক হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। সেজন্য জোরেসোড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে সাবিনারা।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন