বিজ্ঞাপন

ভিনদেশি ফল ড্রাগন চাষে সফল টাঙ্গাইলের মিনহাজ

October 22, 2018 | 9:20 am

।। মহিউদ্দিন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

টাঙ্গাইল: ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় ফল ড্রাগনের নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশেও। দেশের বিভিন্ন স্থানেই তরুণ উদ্যোক্তারা এখন এই ফল আবাদে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। ঠিক তাদের মতোই একজন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার উপজেলার ফুলমালিরচালা গ্রামের মিনহাজ মিয়া। ঘাটাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে এই ফলটি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু এরই মধ্যে দেখেছেন লাভের মুখ। তাই এই ফল আবাদ ঘিরেই এখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তিনি।

মিনহাজ জানান, বছর তিনেক আগে তিন একর জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান করেন তিনি। ভিয়েতনাম থেকে আনা গাছগুলো লাগিয়ে দেন সারিতে সারিতে। বাগানের মোট গাছের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৩। একসময় লম্বা, সাদাদে নাইট কুইনের মতো ফুল ফোটে সেসব গাছে। চলতি বছর প্রায় সব গাছেই ধরেছে ফল। গাছের সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এসব গাছ থেকে ফল পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
মিনহাজ বলেন, এ মৌসুমে এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজার কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করেছি। প্রায় ১২ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। কোনো বিপর্যয় না ঘটলে এই গাছগুলোই আমার আগামী দিনের সঞ্চয় হয়ে থাকবে।

ড্রাগন গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। আর ফল ধরার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে তা খাওয়ার উপযোগী হয়। ড্রাগন ফলের বংশবৃদ্ধি গাছের কাণ্ড থেকেই হয়। এই ফল চাষ করার জন্য জৈব সারই যথেষ্ট বলে জানান মিনহাজ। তিনি আরও জানান, এই গাছের পরিচর্যায় অতিরিক্ত সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ড্রাগন মূলত মধ্য আমেরিকান ফল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এই ফল ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ ফল মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদের হয়ে থাকে। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। ভেষজ ও ওষুধি গুণ থাকায় ক্যান্সার থেকে শুরু করে ডায়োবেটিকসসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার প্রচলিত। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বাজারে মিলছে এই ফল। মিনহাজ জানালেন, তার বাগান থেকেও অনেক ব্যবসায়ী পাইকারি দরে ড্রাগন কিনে থাকেন।

ঘাটাইলের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিন বিশ্বাস বলেন, মিনহাজ মিয়াকে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকা ড্রাগন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তিনি বেশ ভালো ফলন পাচ্ছেন এবং লাভবানও হচ্ছেন।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন