বিজ্ঞাপন

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হতে পারেন সু চি’

February 16, 2018 | 8:40 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে চুপ থাকা ও তাদের পক্ষে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হওয়ায় অং সান সু চি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হতে পারেন, বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি মিয়ানমারের নেত্রী সু চির সমালোচনা করে বলেন, মিয়ানমারের নেত্রী রোহিঙ্গা হত্যার ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ী হতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মিয়ামারে আরও কিছু গণকবর থাকতে পারে বলে তাকে জানানো হয়েছিল। তবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ইয়াংহি লির মতে, সেনাবাহিনীর অভিযানের পর ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। যা একটি দেশের গণহত্যার সব সাক্ষ্যই বহন করে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নকরা হলে ইয়াংহি লি বলেন, আমি মনে করি সে সত্যিই বিষয়টি অস্বীকার করছে অথবা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে সরে গেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য না হওয়ায় তার এ ধরণের বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখী হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এ ছাড়া চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার কারণে তার বিরোধিকার মুখে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে পারবে না নিরাপত্তা পরিষদ।

গত ডিসেম্বরে মিয়ানমার সরকার লিকে জানায়, এই সরকারের আমলে তিনি আর মিয়ানমারে ফিরতে পারবেন না, তা ছাড়া সরকার তাকে আর কোনো সহায়তাও করবে না। রাখাইন পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্বমূলক বলে অভিযোগ করেছে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী।

চ্যানেল ফোরকে জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, অনেকবার তিনি হত্যার হুমকি পেয়েছেন। এমনকি তাকে পরিকল্পিত গুপ্তহত্যারও পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন