বিজ্ঞাপন

মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন মাইকেল

June 25, 2018 | 8:26 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

মাইকেল জ্যাকসন মারা গেছেন ২০০৯ সালের ২৫ জুন। পশ্চিমা পপ মিউজিকের এই কিংবদন্তী একাধারে ছিলেন গায়ক, গীতিকার ও নাচিয়ে। দুনিয়াজোড়া ছিলো তার জনপ্রিয়তা। ফলে তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো সারা পৃথিবীতে। লেখা হয়েছিলো অসংখ্য ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। ভক্তরা মানতে নারাজ ছিলেন যে ‘মুন ওয়াকার’ মাইকেল জীবন থেকে করেছেন স্বাভাবিক প্রস্থান।

এতো বছর পরও মাইকেলের মৃত্যু নিয়ে ওঠে নানা আলোচনা ও বিতর্ক। সোমবার (২৫ জুন) ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি স্টার এই গায়কের মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ করেছে নতুন খবর। জানিয়েছে, শেষ দিনগুলোতে প্যারানয়েড নামের এক মানসিক অসুখে ভুগছিলেন এই গায়ক। এসময় তিনি ভয় পেতেন যে, মানুষেরা হয়তো তাকে খুন করে ফেলতে পারে। মাইকেলের সাবেক এক দেহরক্ষীর বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।

মাইকেল সবচেয়ে বেশি ভয় পেতেন বড় ধরনের জনসমাবেশ। এজন্য শেষ দিকের কনসার্টগুলোতে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে মঞ্চে উঠতেন তিনি। ভাবতেন ভিড়ের ভেতর আততায়ীত হতে পারেন তিনি। কেউ হয়তো তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে মেরে ফেলবেন। এই ভয় সর্বদা আচ্ছন্ন করে রাখতো মাইকেলকে।

বিজ্ঞাপন

জ্যাকসনের সেই দেহরক্ষীর নাম ম্যাট ফিদেস। শেষ দিনগুলোতে ‘থ্রিলার’ গায়কের ঘনিষ্ট বন্ধুও ছিলেন তিনি। তার মতে, বিভিন্ন রকম ঔষধের ওভারডোজের কারণেই এমন অদ্ভুত মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতেন মাইকেল। যদিও এসব কথা বেশ খোলাখুলি ভাবেই বলতেন ফিদেসকে।

ফিদেসের মতে মাইকেল জ্যাকসনকে তিনি সর্বশেষ স্বাভাবিক দেখেছেন লন্ডনে। সেটাও মৃত্যুর অল্প কয়দিন আগে। সেদিন তাকে সঙ্গে নিয়েই ১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অলিভার’ ছবিটি দেখেন তিনি। বিখ্যাত লেখক চার্লস ডিকেন্সের এই কিশোর উপন্যাসটির চিত্রায়ন দেখে সেদিন আপ্লুত হয়েছিলেন মাইকেল। সিনেমা দেখা শেষে, তিনি ঘুরে দেখেছিলেন গোটা শহর, খেয়েছিলেন নিজের পছন্দের খাবার।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, মৃত্যুর সময় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণে জর্জরিতে ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। অনেকে বলে থাকেন, মাইকেলের মৃত্যুর জন্য এটিও একটি বড় কারণ।

সারাবাংলা/টিএস/পিএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন