বিজ্ঞাপন

মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল আদর্শ: শিক্ষামন্ত্রী

August 17, 2018 | 8:28 pm

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশে জন্য কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুয়া) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় ডুয়ার সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায় প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি চিরকাল বাঙালির জাতির মাঝে বেঁচে থাকবেন।’ জাতির জনকের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশ গড়ে তুলতে হলে উচ্চশিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। উন্নত দেশ গড়ার জন্য দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্মকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। প্রচলিত শিক্ষা ও শিক্ষা পদ্ধতির গুণগত পরিবর্তণ করতে না পারলে সে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত দেশ গড়ার জন্য যুগের সাথে সম্পর্কিত আধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষা গড়ে তুলতে হবে। ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষায় সমতা অর্জন করতে হবে। যে শিক্ষা বাস্তব কাজে প্রয়োগ করা যায় সে শিক্ষা দিতে হবে। বর্তমান সরকার এসব লক্ষ অর্জনে নানামূখি কর্মসূচি গ্রহণ করে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, নিপীড়ন-শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু যারা তার আদর্শের শত্রু ছিল তারা ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। এটা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।’

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন সংগ্রামের তীর্থ কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট থেকে সর্বপ্রথম হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়। যতই দিন যাচ্ছে আদর্শের রচয়িতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু উদ্ভাসিত হচ্ছে। এই কারণে ইউনেস্কো তার ভাষণকে নিপীড়ত মানুষের দলিল হিসেবে সংরক্ষিত করেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, ‘আমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়সেই নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করেছিলেন। তিনি সারা জীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়েছেন।’

সারাবাংলা/কেকে/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন